১৯-এর ভোটে অভিষেকের কাছে ৩ লাখ ভোটে হার, ডায়মন্ড হারবারের পদ্মপ্রার্থী ববিকে চিনুন
এই সময় | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
উল্টোদিকে তৃণমূলের সেনাপতি। বলা যেতে পারে, রাজ্যের শাসক দলের সবথেকে প্রভাবশালী সাংসদ প্রার্থী। ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ‘কোহলি’র সামনে আগুনে পেসার বোলার দেওয়া হতে পারে বিজেপির তরফে। এরকমটাই গুঞ্জন ছিল রাজ্য রাজনীতির। শেষমেষ, কী পর্বতের মুষিক প্রসব? সর্বোচ্চ আলোচ্য লোকসভা কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হল কেন্দ্রের আদি নেতা অভিজিৎ দাসকে।শিক্ষাগত যোগ্যতার রিপোর্ট কার্ডে উঁকি দিলে দেখা যাবে, কলকাতা ইউনিভার্সিটি থেকে এমএসসি করেন অভিজিৎ দাস। এরপর ব্যাচেলর ইন লাইব্রেরি সায়েন্স ডিগ্রি, ২০২২ সালে এলএলবি করেন বিজেপি প্রার্থী। আইন জগতের কাজের পাশাপাশি তরুণ বয়স থেকেই ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত অভিজিৎ।
বলা বাহুল্য, একসময় জেলা বিজেপি সভাপতি ছিলেন অভিজিৎ দাস। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় সংগঠন মজবুত করতে কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। তিনি এর আগেও, ২০০৯ সালে এবং ২০১৪ সালে তিনি বিজেপির টিকিটে এই কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েছিলেন। ২০০৯ সালে পালাবদলের ঠিক আগে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন সৌমেন মিত্র। তাঁর বিরুদ্ধে মাত্র ৩৭,৫৪২টি ভোট পান অভিজিৎ। এরপর ২০১৪ সালে এর আগেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিজিৎ। সেবার তাঁর ঝুলিতে যায় ২ লাখ ৮৫৮টি ভোট। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ব্যবধান ছিল প্রায় ৩ লাখ ভোটের।
Abhishek Banerjee : 'বিজেপির কপ্টারে হয় না!' তল্লাশিকাণ্ডে আইনি পথে অভিষেক
এমনিতেই, রাজ্যে একমাত্র ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে প্রার্থী ঘোষণা করা হল সবশেষে। বিলম্ব হওয়ার কারণে, এই কেন্দ্রে বড় চমক দেওয়া হতে পারে এমনটাই ধরে নিয়েছিলেন অনেকে। অভিষেকের বিরুদ্ধে নাম উঠে এসেছিল বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা, সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে আসা কৌস্তভ বাগচীর নাম। এমনকি, বিজেপির তারকা নেতা রুদ্রনীল ঘোষকে এই কেন্দ্রে দাঁড় করানো হতে পারে, এরকম সম্ভাবনাও ছিল। তবে জেলা থেকে অভিজিৎ দাসের নামও পাঠানো হয়েছিল। অভিজিৎ দাস নিজে এবারের ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন রেখেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এই কেন্দ্র থেকে ভূমিপুত্রকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হোক, এরকমটাই চাওয়া হয়েছিল। আমতলার বাসিন্দা অভিজিৎ দাস এই জেলায় রাজনীতি করছেন। তিনি, এই কেন্দ্রের নাড়ি নক্ষত্র জানেন। এর আগে দুইবার লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়ানোর কারণে অভিজ্ঞতাও রয়েছে যথেষ্ট। সেই কারণে, তাঁকে প্রার্থী করায় খুশি জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
তবে, তৃণমূলের অন্যতম হেভিওয়েট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কি জোর টক্কর দিতে পারবেন বিজেপির ববি দা? এবার নিজের জয়ের ব্যবধান আরও বাড়ানোর ডাক দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই কঠিন, খেলা ঘোরাতে পারবেন বিজেপি প্রার্থী? উত্তর দেবে সময়।