জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নাম দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik), ৩৮ বছরের তামিলনাড়ুর ক্রিকেটার ২০২২ সালের পর আর দেশের জার্সিতে খেলেননি। ভারতীয় ক্রিকেটের বিরল এক উইকেটকিপার-ব্য়াটার। বিরল এই কারণেই, তিনি সারা বছর ধারাভাষ্য়কার কিংবা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হয়ে কোনও চ্য়ানেলের হয়ে কাজ করেন। আইপিএল হলেই তিনি উদয় হন। বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মাদের ইন্টারভিউ নেওয়া লোকটাই তাঁদের সঙ্গে বা বিরুদ্ধে খেলতে শুরু করে দেন। আর আইপিএলেই এহেন দীনেশই ঘুমন্ত থেকে জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি হয়ে ওঠেন। সাম্প্রতিক ইতিহাস তা জানে, আইপিএল জ্বালিয়েই তিনি দেশের জার্সিতে ফিরেছেন। চলতি লিগে রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে (Royal Challengers Bengaluru) নিয়ে যত কম কথা বলা যায় তত ভালো। জীবনে আইপিএল জিততে না পারা দলটাকে দেখলে মনে হচ্ছে যে, আইপিএল তো দূরের কথা ফাফ দু প্লেসিসদের ম্য়াচ জেতারও কোনও ইচ্ছা নেই। ১০ দলীয় লড়াইয়ে সবার শেষে আরসিবি। সাত ম্য়াচের মধ্য়ে ছয় ম্য়াচ হারা ও এক ম্য়াচ জেতা দলের প্লে-অফের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে এই দলেই খেলেন দীনেশ। তাঁকে নিয়ে অনেক কিছু বলার আছে। সাত ম্য়াচে ২২৬ রান করা দীনেশ ব্য়াট করেছেন ২০৫.৪৫-এর স্ট্রাইক রেটে। আর এবার দীনেশ চলতি লিগে যা করলেন, তা আর কেউ করতে পারেননি। সপ্তদশ আইপিএলে ৩০টি ম্য়াচ খেলা হয়ে গিয়েছে। তবে দীনেশের চেয়ে দূরে কেউ ছয় মেরে বল পাঠাতে পারেননি। এমন ছয় মারলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে, তা নিয়ে এখনও চলছে চর্চা। এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সানরাইজার্স হায়দরবাদের বিরুদ্ধে খেলছিল আরসিবি। টস হেরে প্রথমে ব্য়াট করে প্য়াট কামিন্সের টিম ৩ উইকেটে ২৮৭ রান তোলে। সৌজন্য়ে ট্র্য়াভিস হেডের ৪১ বলে ১০২। হেনরিখ ক্লাসেনের ৩১ বলে ৬৭। সানরাইজার্সের রান তাড়া করতে নেমে আরসিবি সাত উইকেটে ২৬২ রান তুলেছিল। আরসিবি হারে ২৫ রানে। দেখার মতো ছিল দীনেশের ব্য়াটিং। ৩৫ বলে ৮৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন দীনেশ। পাঁচটি চার ও সাতটি ছয় মারেন তিনি। আর এর মধ্য়েই একটি ছয় তিনি মেরেছিলেন টি নটরাজনকে। বল চিন্নাস্বামীর ছাদ পার করে গিয়েছিল। ১০৮ মিটারের ছয় মেরেছিলেন দীনেশ। আইপিএল সেই ভিডিয়ো আলাদা করে এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্ট করেছে।