‘আমাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে...', গোষ্ঠীকোন্দলের কথা মেনে নিলেন রচনা
২৪ ঘন্টা | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
বিধান সরকার: তৃনমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে, এই লোকসভা ভোট হোক বা এর পর একজোট হয়ে কাজ করবে, বলেই ফেললেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।হুগলিতে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব মেটাতে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আসতে হয়েছে। সম্প্রতি সিঙ্গুরে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিধানসভার সাতটি বিধানসভার তৃণমূলের পদাধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন অভিষেক। সেখানে দ্বন্দ্ব মেটাতে কড়া বার্তা দেন তিনি।
হুগলিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোনও নতুন বিষয় নয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বলাগড় পান্ডুয়া সপ্তগ্রাম সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রকট হয়েছে এই দ্বন্দ্ব।২০১৯ সালে রত্না দে নাগকে হারতে হয়েছিল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। সেখানেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে এসেছিল। যদিও ২০২১ সালে হুগলির সাতটি বিধানসভায় তৃণমূল জয়ী হয়। তবে দ্বন্দ্ব মেটেনি।চুঁচুড়ার অসিত মজুমদার, সপ্তগ্রামের তপন দাশগুপ্তর মধ্যে দ্বন্দ্ব, তৃণমূলের চেয়ারপারসন ধনিয়াখালীর বিধায়ক অসীমা পত্রের সঙ্গেও দ্বন্দ্ব। পান্ডুয়ার ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জয় ঘোষের সঙ্গে বর্তমান সভাপতি আনিসুল ইসলামের দ্বন্দ্ব।কিছুদিন আগে বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ও যুব নেত্রীর রুনা খাতুনের দ্বন্দ্বের জল অনেক দূর গড়ায়।এরই মধ্যে লোকসভা ভোট ঘোষণা হয়। অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুগলির প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্দেশ্য হারানো সিট পুনরুদ্ধার করা। রচনা কয়েকদিন প্রচারে বেরোনোর পরেই দলীয় যে দ্বন্দ্ব রয়েছে তা বুঝতে পারেন।সপ্তগ্রামে তাঁর প্রচারে লোক হয়নি। চেয়ারম্যান কাউন্সিলর ও বিধায়কের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে সরাসরি অভিষেককে অভিযোগ জানান তিনি। সূত্রের খবর তেমনই। এরপরেই দ্বন্দ্ব মেটাতে হস্তক্ষেপ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।বিধায়ক যে যার নিজের এলাকায় থাকবেন ভোটের জন্য কাজ করবেন। প্রার্থীকে জেতাতেই হবে বলেন তিনি।বলাগড়ের ক্ষেত্রে জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তৃণমূল অন্দরের খবর এরপরেও দ্বন্দ্ব কতটা মিটেছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তার আভাস পাওয়া গেল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেই।রচনা এদিন বলেন, ‘আমাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে, সবার সঙ্গে কিছু না কিছু সমস্যা থাকতে পারে। আমাদের মধ্যেও আছে। আমরা বারবার বলেছি, হয়তো চিন্তা ভাবনার তফাৎ থাকতে পারে। আমার বিশ্বাস এই লোকসভা ভোট হোক বা এরপরে সবাই একজোট হয়ে কাজ করবে। বলাগড়, পান্ডুয়ায় সবচেয়ে বেশি লিড হবে’।তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘স্বীকার করার কী আছে। চারিদিকে খুনোখুনি, তোলাবাজি চলছে। ক্ষমতায় থাকার জন্য কীভাবে জনতার টাকা লুট করা হচ্ছে তা সবাই বুঝতে পারছে। যারা বাড়ি পাবার কথা তারা বাড়ি পাচ্ছেন না। এটা কী উনি জানেন’।