মেক আপ ঘেঁটে যাওয়ায় প্রচারের ফাঁকে আয়নায় নিজেই মেক-আপ করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।তৃনমূল প্রার্থী বলেন, ‘সারা জীবন মেক-আপ করে এসেছি। রাজনীতিতে এসে ভেবেছিলাম মেক-আপ করতে হবে না। মেক-আপ ছাড়া আরামে থাকব। কিন্তু গরমে মেক-আপ না করলে স্কিনটা পুড়ে যাবে। তাই মেক-আপ করছি’।আজ হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার ১ থেকে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করেন হুগলি লোকসভায় তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাপোতা এলাকা শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন তিনি। তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে এবার আর হুড-খোলা গাড়ি নয়। এবার ছাউনি দেওয়া গাড়ি করে প্রচার করছেন তিনি। প্রচারের মাঝে মাঝে প্রার্থীকে বার বার জল খেতে দেখা যায়। এদিনের প্রচারে গরম থেকে বাঁচতে সাদা রঙের হালকা চুরিদার পড়েন তিনি।বেলা যত বাড়তে থাকে বাড়তে থাকে গরম। তবে গরমকে উপেক্ষা করে প্রতিটা এলাকায় মহিলাদের ঢল নামতে দেখা যায়। ফুলের তোরা থেকে লক্ষীর ভান্ডার উপহার দেন মহিলারা।এই গরমে কীভাবে নিজেকে ফিট রেখেছেন এবং নিজের যত্ন কীভাবে নিচ্ছেন সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘প্রচুর জল খাচ্ছি, ছাঁচ খাচ্ছি, লসসি খাচ্ছি। যে সব গাড়ি নিয়ে যাচ্ছি সেগুলোয় ছাউনি করে নিচ্ছি। কারন টানা রোদে থাকা যাচ্ছেনা। অনেকে প্রচার করছেন বিকেলে। তবে আমি সকালে ছাউনি দেওয়া গাড়ি ব্যবহার করছি। আর বিকেলে হুড খোলা গাড়ি ব্যবহার করছি’।তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে মেনে নিয়ে রচনা বলেন, ‘আমার মনে হয় পান্ডুয়া এবং বলাগরে সবথেকে বেশি লিড দেবে’। রচনা বলেন, ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সব জায়গায় আছে, আমি মানছিনা যে নেই। আমাদের মধ্যেও আছে, সবার সঙ্গে কিছু না কিছু সমস্যা থাকতেই পারে। হয়ত হচ্ছে সেটা। আমরা বারবার বলেছি হয়তো চিন্তা ভাবনার তফাত থাকতে পারে। আমার বিশ্বাস এই লোকসভা ভোট হোক বা এরপরে সবাই একজোট হয়ে কাজ করবে’।