গৌতম ব্রহ্ম: সন্ন্যাস গ্রহণের পর সাধুসন্তরা পরিব্রাজনে বের হন। কিন্তু গেরুয়াধারী না হয়েও তিনি বারো বছরের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়াবেন জগৎসংসার। ইতিমধ্যেই বেনাপোল পেরিয়ে সাড়ে চারশো কিমি হেঁটে ফেলেছেন। পয়লা বৈশাখের আগে পৌঁছে গিয়েছিলেন নন্দন চত্বরে। সেখানেই দেখা বাংলাদেশি (Bangladesh) যুবক সাইফুল ইসলাম শান্তর সঙ্গে।
পিঠে পেল্লায় রুকস্যাক। সেখানে লাগানো ভারত ও বাংলাদেশের পতাকা। ২২ মার্চ ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে যাত্রা শুরু করেছেন শান্ত। লক্ষ্য একটাই, সবুজ বঁাচানো নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো। বাংলা থেকে দিল্লি হয়ে নেপাল, উজবেকিস্তান। আপাতত এইটুকু রুট চূড়ান্ত হয়েছে। বাকিটা পথ যেভাবে নিয়ে যাবে সেভাবেই চলবেন ২৮ বছরের যুবক। জানালেন, ‘‘যখন যে দেশের ভিসা পাব সেখানে চলে যাব।’’ খরচ বঁাচানোর জন্য সাদামাটা খাবার খাচ্ছেন। সরকারি পান্থনিবাসে থাকার চেষ্টা করছেন। জানালেন, ‘‘গাছ লাগিয়েই আমরা আমাদের দায়িত্ব শেষ করি। কিন্তু গাছ বঁাচানোটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই লাগানোর পর গাছের যত্ন নেন না। পরিচর্যা করেন না।’’ পৃথিবীকে আরও সবুজ, আরও বাসযোগ্য করার অঙ্গীকার নিয়েই তঁার বিশ্বভ্রমণ।
শান্ত জানালেন, ‘‘আমরা বন্ধুরা যেখানে বেড়াতে যাই ফলের বীজ ছড়াই। রমজান মাসে প্রচুর ফল খাওয়া হয়। সবাই যদি সংরক্ষিত বীজ গেরিলা কায়দায় ছড়িয়ে দেন তবে পৃথিবী অনেক সুন্দর হয়ে যাবে। এর আগেও কলকাতায় এসেছেন শান্ত। তবে, এবার পরিব্রাজক হিসাবে। ফা হিয়েন, হিউয়েন সাংয়ের মতো।
এখন ভারতে নির্বাচনের মরশুম। রাস্তায় হঁাটতে হঁাটতে মিছিল, মিটিং দেখছেন শান্ত। কিন্তু রাজনীতি নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই তঁার। জানালেন, ‘‘রাজনীতি ভালো লাগে না। ঘুরতে ভালবাসি। তাই বাবা-মাকে জানিয়ে পথের ডাকে বেরিয়ে পড়েছি। ইচ্ছে আছে সব কটা মহাদেশ ছঁুয়ে দেখা। ‘ওয়ার্ল্ড ট্র্যাভেল অন ফুট’।’’