মুখ ঢাকবে না বিজ্ঞাপনে? শহরে হোর্ডিং-দৌরাত্ম্য রুখতে নয়া নীতি কলকাতা পুরসভার
প্রতিদিন | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
অভিরূপ দাস: বিজ্ঞাপন নিয়ে নয়া নীতি আনতে চলেছে পুরসভা। তৈরি হয়ে গিয়েছে তার প্রাথমিক খসড়া। তা নিয়ে মেয়র পারিষদ বৈঠকে আলোচনা হবে। মতামত নেওয়া হবে সদস্যদের। পুরসভা সূত্রে খবর, বিজ্ঞাপন নিয়ে কলকাতাকে তিনটে জোনে ভাগ করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি নো অ্যাডভার্টাইজমেন্ট জোন। যেখানে লাগানো যাবে না কোনওরকম বিজ্ঞাপন।
অন্যদিকে, একটি থাকছে গ্রিন জোন। সেখানে শুধুমাত্র পুরসভার অনুমতি নিয়েই বিজ্ঞাপন লাগানো যাবে। আরেকটি প্রাইভেট হোর্ডিং ফ্রি জোন। তৃতীয় জোনের রাস্তাগুলোতে শুধুমাত্র সরকারি বিজ্ঞাপন লাগাতে অনুমতি দেওয়া হবে। পুরসভা সূত্রে খবর, পার্ক স্ট্রিট, ক্যামাক স্ট্রিটকে এই প্রাইভেট হোর্ডিং ফ্রি জোনের মধ্যে রাখা হয়েছে।
শহরের রাস্তায় ত্যাড়াবাঁকা এবড়োখেবড়ো বিজ্ঞাপনের সারি। যার জেরে বারোটা বেজেছে সৌন্দর্যের। একাধিকবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুরসভায় বলেছেন, দৃশ্যদূষণ ঠেকাতে শহরের বিজ্ঞাপনগুলোকে সুসজ্জিত করতে হবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই নীতি মেনেই শহরের ব্যানার, হোর্ডিং প্ল্যাকার্ডের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম আনা হচ্ছে। নয়া নীতি অনুযায়ী কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক সিগন্যালের খুঁটি, সেকেন্ডারি পোল, ক্যান্টিলিভার পোল, পুলিশ সহায়তা বুথেও কোনও বিজ্ঞাপন লাগানো যাবে না। মেট্রো রেল, পূর্ব রেল বা অন্য কোনও সংস্থাকে শহরের রাস্তায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার আগে পুরসভার থেকে অনুমতি নিতে হবে। পাশাপাশি ওই সমস্ত সংস্থাকে একটি নির্দিষ্ট হারে রাজস্ব দিতে হবে পুরসভাকে।
নয়া নীতিতে আরও বলা হয়েছে, বিপজ্জনক পুরনো বাড়িতে কোনওভাবেই বিজ্ঞাপনের অনুমতি দেওয়া যাবে না। দূষণ ঠেকাতে পিভিসি ফ্লেক্সের বিকল্প হিসাবে পরিবেশবান্ধব কাপড় ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও দুটি হোর্ডিংয়ের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং লাগাতে গাছে পেরেক পোঁতা যাবে না। পুরসভা সূত্রের খবর অনুযায়ী, নয়া বিজ্ঞাপনের খসড়া নীতি মেয়র পরিষদের বৈঠকে গৃহীত হওয়ার পরে শীঘ্রই তা শহর জুড়ে কার্যকর হবে।