Narendra Modi : মোদীর কথাতেই ইউক্রেনে সাড়ে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল যুদ্ধ
এই সময় | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: বিশ্বজোড়া যুদ্ধের আবহে ভারতীয়দের নিরাপত্তার জন্য চাই শক্তিশালী সরকার— বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে রবিবার এ ভাবেই নিজের সরকারকে সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন যেন তার ‘ইকো’ শোনা গেল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কথায়। কী ভাবে মোদীর হস্তক্ষেপে দু’বছর আগে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের নিরাপদে দেশে ফেরানো হয়েছিল, জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ার এক প্রচারসভায় তার সবিস্তার ব্যাখ্যা দিলেন রাজনাথ।২০২২-এর ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে যুদ্ধে আটকা পড়া ভারতীয়দের পাশাপাশি অসংখ্য বিদেশিকেও উদ্ধার করেছিল ভারতের ‘অপারেশন গঙ্গা।’ কিন্তু মোদী নিজে থেকে ইউক্রেন-রাশিয়া এবং ইউএসের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা না বললে এই উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব হতো না বলে দাবি করেন রাজনাথ। তাঁর কথায়, ‘মোদীজির হস্তক্ষেপে পুরো সাড়ে ৪ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছিল যুদ্ধ। এবং সেই ফাঁকেই ইউক্রেন থেকে সাড়ে ২২ হাজার ভারতীয় ছাত্রকে ফেরাতে পেরেছিলাম আমরা।’
রাজনাথই অবশ্য প্রথম নন, বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা ভোটপ্রচারে গিয়ে লাগাতার হাইলাইট করছেন ‘অপারেশন গঙ্গা’-কে। যাকে আবার বিরোধী স্রেফ ‘প্রোপাগান্ডা’ বলে বিঁধছেন। মোদীই যুদ্ধ থামিয়েছিলেন— এই দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ক্যাম্পেনিং শুরু হয়ে গিয়েছে। যার একটিকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘প্রোপাগান্ডা নয়, মোদীর যুদ্ধ থামানোর ব্যাপারটা আসলে পাপা অফ প্রোপাগান্ডা।’ গেরুয়া শিবির তবু লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
বছর দুয়েক আগে ওই অপারেশনের পরপরও সোশ্যাল মিডিয়ার একাংশ একই দাবি তোলা শুরু করেছিল। অন্য অংশের দাবি ছিল, ইউএস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথাতেই যুদ্ধ থামে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক অবশ্য তখন সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, ‘কারও কথায় যুদ্ধ থেমেছে, এটা একেবারেই ভুল কথা। কোন রুট দিয়ে কখন সেফ প্যাসেজ পাওয়া যেতে পারে, তার স্পেসিফিক ইনপুট ছিল আমাদের কাছে। আমরা তা ইউক্রেনে আটক ভারতীয়দের জানিয়েছিলাম এবং সেটাই সাকসেস দিয়েছিল অপারেশন গঙ্গাকে।’