Right To Sleep : 'প্রত্যেকের ঘুমের অধিকার আছে', রাতভর ED-র জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
এই সময় | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
প্রত্যেকের ঘুমানোর অধিকার রয়েছে। মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে পড়ে ঘুম। গভীর রাত পর্যন্ত ইডির জিজ্ঞাসাবাদ বিরুদ্ধে এমনই পর্যবেক্ষণ বম্বে হাইকোর্টের।বেশ কয়েক মাস আগে আর্থিক তছরূপের মামলায় রাম ইসরানি নামে এক ব্যক্তিকে ইডি গ্রেফতার করে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট গ্রেফতারি বেআইনি এই দাবি তুলে ৬৪ বছর বয়সী রাম ইসরানি মামলা দায়ের করে বম্বে হাইকোর্টে। ইডির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'রাতে ঘুমানোর অধিকার প্রত্য়েক নাগরিকের রয়েছে। তাই গভীর রাত পর্যন্ত কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ বা বয়ান রেকর্ড করা অনুচিত। ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে ইডি রাম ইসরানিকে তলব করে। ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে হাজিরা দেওয়ার পর রামকে ম্য়ারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাত সাড়ে তিনটে পর্যন্ত বয়ান রেকর্ড করা হয় তাঁর। তারপরই রামকে গ্রেফতার করে ইডি।
এরপর ইডির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় রাম দাবি করেন, ২০২৪ সালের ৭ অগাস্ট দিল্লি থেকে তাঁকে সকাল সাড়ে ১০টায় আটক করা হয় তাঁকে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁর মোবাইল নিয়ে নেয়। এমনকি শৌচাগারে গেলেও ওই বৃদ্ধকে অনুসরণ করতে থাকেন তদন্তকারীরা। রামের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, তাঁর মক্কেলকে সারা রাত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর ৮ অগাস্ট ভোর ৫টা নাগাদ গ্রেফতার কর হয় তাঁকে। এতে তাঁর রাতে ঘুমের অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে জীবনের অধিকারের ক্ষেত্রে যা যা উল্লেখ রয়েছে তা এক্ষেত্রে মানা হয়নি বলে অভিযোগ। যদি ইডির তরফে সওয়ালকারী আইনজীবী হিতেন বেনেগাঁওকর এবং আয়ুষ কেদিয়ার বক্তব্য পালটা জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় আপত্তি জানাননি রাম।
দুই পক্ষের সওয়াল জবাবের পর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, 'অনুমতি নিয়ে হোক বা না নিয়ে হোক যেভাবে অভিযুক্তের বয়ান নেওয়া হয়েছে তা নিন্দনীয়। সঠিক সময়ে ঘুমোতে দেওয়া উচিত অভিযুক্তকে। কারণ প্রত্যেক নাগরিকেরই ঘুমানোর অধিকার রয়েছে। শুধু তাই নয় ঘুমের অভাব শরীরও খারাপ হতে পারে। মানসিক ভাবেও সমস্য়া তৈরি করেতে পারে। তাই কোনও ব্যক্তিকে ঘুমের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অধিকার নেই কারও।' বৃদ্ধের কৌঁসুলিদের বক্তব্য শোনার পর বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি রেবতী মোহিতে দেরে এবং মঞ্জুষা দেশপাণ্ডের নির্দেশ, 'অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ) সংক্রান্ত মামলায় বয়ান নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে চলতে হবে ইডির তদন্তকারীদের। হাইকোর্টের মত, বয়ান দিনের বেলাও নিয়ে যাওয়া যেত। যদিও ইডির গ্রেফতারি বিরোধিতা করে দায়ের হওয়ার মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।