'তৃণমূল আদিবাসী গরিব মহিলাদের বন্ধক মনে করে', বালুরঘাটে আক্রমণ মোদীর
এই সময় | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
গত বছর দক্ষিণ দিনাজপুরে তিন আদিবাসী মহিলাকে প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা দণ্ডি কাটিয়ে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানোর অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে জেলার এক মহিলা নেত্রীর দিকে। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে উঠে এল সেই প্রসঙ্গ। বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমাদারে সমর্থনে প্রচারে গিয়ে তৃণমূলকে ব্যাপক নিশানা করেন নরেন্দ্র মোদী।এদিন মোদী অভিযোগ করে বলেন, 'বালুরঘাটে ৩ আদিবাসী মহিলায় বিজেপি যোগ দিয়েছিলেন বলে, তৃণমূল তাঁদের ধমকে হাঁটু গেড়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। তৃণমূল মনে করে গরীব আদিবাসীরা নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী চলতে পারবে না। তৃণমূল আদিবাসী গরিব মহিলাদের নিজেদের বন্ধক মনে করেছে। আদবাসীদের হাঁট গেড়ে বসানো তৃণমূল শিঘ্রই পুরোপুরি হাঁটু গেড়ে বসবে।'
মোদী আরও বলেন, 'যবে থেকে মোদীর গ্যারান্টি কার্ড এসেছে, তৃণমূলের লোকেরা দু'গুণ ক্ষেপে গিয়েছে। তাঁরা ভাবছেন এতদিন মোদীর প্রকল্প বাংলার মানুষের পর্যন্ত পৌঁছতে দিচ্ছিল না। এবার মোদী সমস্ত প্রকল্প গরীব মানুষ পর্যন্ত পৌঁছনোর গ্যারান্টি দিচ্ছে। গরীব মানুষ মোদীর কাজের সুবিধা পেলে, গরীব মানুষ এগিয়ে গেলে, তৃণমূলের দোকানই বন্ধ হয়ে যাবে।'
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'তৃণমূল ইচ্ছাকৃতভাবে আদিবাসী সমাজকে উন্নয়ন থেকে দূরে রেখেছে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল খুলতে দেয়নি, রোজগারের ব্যবস্থা করতে দেয়নি। যুবকরা কাজের সন্ধানে ঘর ছেড়ে গিয়েছে। কিন্তু গত ১০ বছরে তৃণমূলের বিরোধিতা সত্ত্বেও বিজেপি বালুরঘাট ও বাংলার উন্নয়নের জন্য সমস্ত চেষ্টা করেছে। বিজেপি বালুরঘাটকে অমৃত ভারত স্টেশন হিসেবে বিকশিত করছে। শিয়ালদাকে যুক্ত করার জন্য ট্রেন তৈরি হয়েছে। ভাতিন্ডা- মালদা ট্রেনকেও বালুরঘাটের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বালুরঘাটে এয়ারপোর্টের জন্যও প্রচুর চেষ্টা করছে। কিন্তু তৃণমূল চায় না এখানে এয়ারপোর্ট হোক। তৃণমূলের বিরোধ সত্ত্বও আগামী ৫ বছরে বাংলা ও বালুঘাটের বিকাশের জন্য সমস্ত প্রয়াস করা হবে। এটা মোদীর গ্যারান্টি। আমার প্রতিটা মুহূর্ত আপনাদের জন্য, আমার প্রতিয়া মুহূর্ত দেশের জন্য।'
এদিন অবৈধ অনুপ্রবেশকারী নিয়েও তৃণমূলকে নিশানা করেন মোদী। তিনি বলেন, 'তৃণমূল একদিক থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ও অপরাধীদের কাছে বাংলাকে লিজ দিয়ে দিয়েছে।' অন্যদিকে আসন্ন রামনবমী নিয়ে মোদী বলেন, 'এই প্রথম রামনবমী যেখানে অযোধ্যায় রামলালা বিরাজমান, আমি জানি, তৃণমূল প্রত্যেকবারের মতো এখানে রামনবমী আটকানোর জন্য সব ষড়যন্ত্র করেছে, কিন্তু জয় সত্যেরই হয়েছে। এই কারণে আদালতের থেকে অনুমতি মিলেছে।'