‘পুরীর মন্দির দেখে আজই ফেরার কথা’, বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু গৃহবধূর! শোকস্তব্ধ দাস পরিবার
এই সময় | ১৬ এপ্রিল ২০২৪
চিকিৎসার জন্য ওডিশা গিয়েছিলেন তাঁরা। স্বামী স্ত্রী দুজনেই মিলেই চিকিৎসা করাতে যান। ফেরার কথা ছিল মঙ্গলবার সকালে। ওডিশা ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা কেড়ে নিল স্ত্রীর প্রাণ। মৃত মহিলা বর্ণালী দাস (৪০)। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন স্বামী চন্দন কুমার দাস। শোকের ছায়া নন্দীগ্রামের দাস পরিবারে।বৃহস্পতিবার দিন স্বামী-স্ত্রী নিলে গিয়েছিল ওডিশা এইমস হাসপাতালে। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য দুজনে মিলে রওনা দেন বাসে। সেখানে তাঁদের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার কথা সোমবার। পাশেই থাকেন তাঁদের আত্মীয়রা। তাঁদেরকে ফোন করে জানিয়েছিলেন ফেরার কথা। ভোর পাঁচটায় বাড়িতে ঢুকবেন বলে পাশেই আত্মীয়কে তালা খুলে রাখার কথা জানান।
বর্ণালী দাসের আত্মীয় জানান, ‘আমি ওঁর বড় জা হই। আমার কাছে চাবি রেখে গিয়েছিল। কালকেই আমাকে ফোন করেছিল। বলেছিল, দিদি আমরা কাল বাড়ি ফিরছি। ভোরে ফিরব। কিন্তু কি হল! আর কিছু বলতে পারছি না।’ কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সকল আটটায় বাড়ির লোক খবর পান দুর্ঘটনার ব্যাপারে। তখনও নিশ্চিত ভাবে জানতে পারেননি বর্ণালী দেবী এবং চন্দন দাসের অবস্থা কী? পরে জানতে পারেন, বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বর্ণালী দেবী। তাঁর স্বামী চন্দন দাস গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির রয়েছেন। গোটা ঘটনায় শোকে ভেঙে পড়েছেন পাড়া প্রতিবেশীরাও।
নন্দকুমার বাস স্ট্যান্ড থেকে এই বাস ছেড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকেই এই বাসের যাত্রী হন দম্পতি। পুরী থেকে ৪৭ জন যাত্রী নিয়ে ফিরছিল বাসটি। ওডিশার জজপুরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাস। বারাবতী ব্রিজের উপর থেকে যাত্রীবোঝাই বাসটি নীচে পড়ে যায়। বাসের মধ্যে থাকা একাধিক যাত্রীর তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয়। বাকিটা গুরুতর আহত হন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জজপুর পুলিশ। উদ্ধারকারী দল এবং দমকল টিম মিলে উদ্ধার কাজ শুরু করে। জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর ফেরত ওই বাসে জেলার মোট আটজন যাত্রী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।