• ভোটে অবহেলিত শিক্ষাক্ষেত্র, বিভিন্ন দাবিতে ইস্তেহার দুই ছাত্র সংগঠনের
    এই সময় | ১৭ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়: ভোট আসে, ভোট যায়। কিন্তু অবস্থা অনেকেরই বদলায় না। যেমন, শিক্ষাক্ষেত্রের বঞ্চনা। পড়ুয়াদের চাকরি থেকে পড়াশোনার খরচ কমানো, পাশাপাশি গবেষকদের ভাতা নিয়মিত না আসার মতো বিষয়েও সামগ্রিক ভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে কম বরাদ্দ। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে লোকসভা ভোটের আগে ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্টুডেন্টস ম্যানিফেস্টো বা ইস্তেহার প্রকাশ করল দুটি ছাত্র সংগঠন।দুই বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং ডিএসও এই স্টুডেন্টস ম্যানিফেস্টো প্রকাশ করেছে ছাত্রছাত্রী এবং সদ্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা নবীনদের নানা দাবিকে সামনে তুলে ধরতে। সারা দেশে ২১ কোটির বেশি নবীন প্রজন্মের ভোটার। তার মধ্যে বেশির ভাগই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী।

    রাজ্যে এই সংখ্যাটা ১৫ লক্ষের আশেপাশে। ফলে সব মিলিয়ে এই ভোটারদের দাবি-দাওয়াকে চিহ্নিত করতে এ ধরনের স্টুডেন্টস ম্যানিফেস্টো তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।

    কী আছে সেই স্টুডেন্টস ম্যানিফেস্টোতে?

    এসএফআই যে ডকুমেন্ট প্রকাশ করেছে তার নাম ‘স্বদেশ গড়ার ইস্তেহার’। এই ইস্তেহারে সকলের জন্য শিক্ষা সুনিশ্চিত করার দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিটি পাঠ্য বইয়ে সংবিধানের প্রস্তাবনা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানানো হয়েছে। ভারতের ইতিহাস থেকে হরপ্পা সভ্যতা মুছে ফেলা, সাম্প্রদায়িক ইতিহাস রচনা রোধ করার দাবিও তোলা হয়েছে।

    বিজ্ঞানের নামে অপবিজ্ঞান প্রসারের বিরুদ্ধেও এই ইস্তেহার সমালোচনা করেছে। দাবি করা হয়েছে, রোহিত ভেমুলার নামে একটি আইন প্রণয়ন করে ক্যাম্পাসে, হস্টেলে জাতি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির। লিঙ্গ নিরপেক্ষতার দাবিতে নারী-পুরুষের পাশাপাশি রূপান্তরকামী পড়ুয়াদের সুযোগ-সুবিধে বৃদ্ধির দাবি ছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের পরিবহণের জন্য ৫০ শতাংশ ছাড়ের দাবিও করা হয়েছে।

    দাবি জানানো হয়েছে, প্রতিটি কলেজে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় প্লেসমেন্ট সেলের। যাতে পড়াশোনা শেষে পড়ুয়াদের চাকরি পাওয়ার নৈতিক দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের উপরেই থাকে। সোমবার ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও-র তরফেও স্টুডেন্টস ম্যানিফেস্টো আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হয়। সেখানে জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিলের দাবি তোলা হয়েছে।

    সংগঠন মনে করছে, এই জাতীয় শিক্ষানীতিতে আসলে বেসরকারিকরণের উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে। তাই সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি, আরও হস্টেলের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি তোলা হয়েছে এতে। স্কুল কলেজে বরাদ্দ বৃদ্ধি, সব ধরনের গবেষকদের সম কাজে সম ভাতার দাবি তোলা হয়েছে।

    স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী নিয়োগের পাশাপাশি র‍্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতেও সরব হয়েছেন তারা। দুই ছাত্র সংগঠনই অবিলম্বে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনেরও দাবি তুলেছে।
  • Link to this news (এই সময়)