মধ্যমগ্রাম স্টেশন-চৌমাথা রুটে ৩ দিন ধরে বন্ধ টোটো পরিষেবা
এই সময় | ১৭ এপ্রিল ২০২৪
মধ্যমগ্রাম স্টেশন থেকে চৌমাথা রুটের টোটো আজও বন্ধ। তিনদিন ধরেই এই রুটে বন্ধ টোটো পরিষেবা। আন্দোলনকারীদের টোটো চালকদের দাবি, যতক্ষণ না ইউনিয়ন সম্পাদক তাঁর পদ থেকে সরছেন এবং সম্পূর্ণ টাকা পয়সার হিসাব বুঝিয়ে দিচ্ছেন, ততক্ষণ কোনও টোটো চালান হবে না। চালকদের দাবি একসময় এই রুটে ৭০ টি টোটো চলত, বর্তমানে তা বাড়তে বাড়তে ১১৪-তে পৌঁছে গিয়েছে। অভিযোগ, ইউনিয়নের সম্পাদক লাখ লাখ টাকা নিয়ে টোটো ঢুকিয়ে চলেছেন এই রুটে। প্রতিবাদ করলেও কোনওরকম কর্ণপাত করেননি। অবশেষে টোটো বন্ধ রেখে প্রতিবাদের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। সোমবার রাতে ইউনি রতন পালকে ঘিরে মধ্যমগ্রাম স্টেশনের সামনে বিক্ষোভও দেখান টোটো চালকদের।এই বিষয়ে ইউনিয়নের সম্পাদক বলেন জানান, তিনি বিষয়টি নেতৃত্বকে জানিয়েছেন, সভাপতি এই মুহূর্তে রাজ্যের বাইরে আছেন, তিনি এলে সব হিসাব তিনি বুঝিয়ে দেবেন এবং পদ থেকে সরে যাবেন। একইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সঠিক নয় বলেও দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে আন্দোলনকারী টোটো চালকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। আন্দোলনকারী টোটো চালকদের বক্তব্য, যেহেতু দুর্নীতির অভিযোগ তুলে টোটো পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে, তাই দাবি না মেটা পর্যন্ত তাঁরা গাড়ি চালাবেন না।
এদিকে এই টোটো পরিষেবা বন্ধ হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। স্টেশন থেকে নেমে চৌমাথার দিকে যাওয়ার জন্য পাচ্ছেন না কোনওরকম টোটো বা ভ্যান। ফলে পায়ে হেঁটেই যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। কবে এই সমস্যা মিটে টোটো চলাচল ফের স্বাভাবিক হবে তা জানা নেই যাত্রীদের।
প্রসঙ্গত, এর আগে বিভিন্ন সময় রাজ্যের নানা কারণে রাজ্যের বিভিন্ন রুটে সাময়িকবাবে বন্ধ হয়েছে টোটো চলাচল। যেমন যানজট কাটাতে গত পুজোর সময় মেদিনীপুর শহরে টোটো চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় পুরপ্রশাসন। সেই সময় নম্বরবিহীন টোটো আগেই শহরের রাস্তায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর পুজোর দিনগুলিতে, অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত নম্বরযুক্ত এবং নম্বর বিহীন, উভয় ধরণের টোটো চলাচলই বন্ধ রাখা হয় মেদিনীপুর শহরের রাস্তায়। এই বিষয়ে পুলিশকেও কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আর এবার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মধ্যমগ্রাম স্টেশন থেকে চৌমাথা রুটের পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত টোটো চালকদের।