• Hooghly: ভোটের আবহে রামনবমী, অশান্তি রুখতে আদালতের নির্দেশে কমিশনারেটের একাধিক সতর্কতা ...
    আজকাল | ১৭ এপ্রিল ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি: শর্ত সাপেক্ষে রামনবমীর শোভাযাত্রার অনুমতি হাই কোর্টের। রামনবমীতে অশান্তি রুখতে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা চন্দননগর কমিশনারেটের। লাগাতার চলছে এলাকায় পুলিশি টহল। গত বছর রামনবমীর মিছিলকে ঘিরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল রিষড়া। দোকান পাট ভাঙচুর, আগুন দেওয়া থেকে শুরু করে আক্রান্ত হয়েছিলেন অনেকেই। রেল গেট ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় বন্ধ হয়েছিল ট্রেন চলাচল। পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু করে এনআইএ। তাই এবছর অশান্তি এড়াতে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে রামনবমীর রুট পরিবর্তন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সাধারণত রিষড়া বাঙুর পার্ক থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। এন এস রোড হয়ে জিটি রোড ধরে মৈত্রী পথের সামনে দিয়ে মাহেশ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। পুলিশের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয় রুট পরিবর্তন করে রিষড়া রেল লাইন বরাবর চার নম্বর গেট হয়ে মাহেশে যাওয়ার। উদ্যোক্তারা পুলিশ কমিশনারেটের সেই প্রস্তাব না মেনে হাইকোর্টের দারস্ত হয়। ওই মামলায় হাইকোর্ট পুরোনো রুটেই শোভাযাত্রার অনুমতি দেয়। তবে সেই অনুমতি দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে। শর্ত দেওয়া হয় শোভাযাত্রা দুপুর ২ টো নাগাদ শুরু করে পাঁচটার মধ্যে শেষ করতে হবে। শোভাযাত্রায় ২০০ জনের বেশি অংশ গ্রহণ করতে পারবে না। যে এলাকা দিয়ে শোভাযাত্রা যাবে সেই সমস্ত এলাকায় থাকবে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। সঙ্গে থাকবে হ্যান্ডি ক্যামেরা এবং বডি ক্যামেরা। একইসঙ্গে গোটা শোভাযাত্রায় নজরদারি চালাবে ড্রোন ক্যামেরা। আদালতের নির্দেশ, প্রত্যেক শোভাযাত্রার জন্য পৃথক একজন ব্যক্তির নামে প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হবে। ওই ব্যক্তির সঙ্গে অনুমোদন পত্রে থাকবে কুড়ি জন স্বেচ্ছাসেবকের নাম। শোভাযাত্রার যাবতীয় দায়িত্ত্ব থাকবে ওই ব্যক্তির এবং কুড়ি জন স্বেচ্ছাসেবকের। বাইক হোক বা গাড়ি কুড়িটির বেশি ব্যবহার করা যাবে না। শোভাযাত্রায় থাকবে না কোনও আগ্নেয়াস্ত্র। একইসঙ্গে গোটা প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি শোভাযাত্রায় কোনও রাজনৈতিক দলের যোগ থাকবে না।চন্দননগর কমিশনারেট এলাকার সাতটি থানায় একাধিক রামনবমীর শোভাযাত্রা হয়ে থাকে। রিষড়ার শোভাযাত্রা পৌঁছয় শ্রীরামপুর পর্যন্ত। এছাড়া উত্তরপাড়া, ডানকুনি ভদ্রেশ্বর, চন্দননগর ও চুঁচুড়া থানা এলাকায় আলাদা আলাদা শোভাযাত্রা হয়। চন্দননগর কমিশনারেটের তরফে তাই ১৭ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত তিন দিন শোভাযাত্রা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বুধবার শোভাযাত্রা হবে চুঁচুড়া, উত্তরপাড়া, রিষড়া, শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া। বৃহস্পতিবার শোভাযাত্রা হবে ডানকুনিতে। মাঝে শুক্রবার শোভাযাত্রা হবে না, শনিবার শোভাযাত্রা হবে ভদ্রেশ্বর, চন্দননগর এবং ডানকুনির কালিপুরে। মঙ্গলবার পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানিয়েছেন হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট বলেছে, আধা সামরিক বাহিনীকে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কাজে লাগানো যাবে। সেই অনুযায়ী রামনবমীর আগে থেকেই স্পর্শ কাতর এলাকাগুলোতে পুলিশি টহল চলছে। বাহিনীর রুটমার্চে তিনি নিজে থাকছেন। একাধিক ক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে জেলাশাসক বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছেন। কথা বলেছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। প্রত্যেকদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে এলাকা ডোমিনেশানে থাকছেন পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা। কোনও রকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না।ছবি: আজকাল
  • Link to this news (আজকাল)