• ভোটের আগে ছত্তিশগড়ে নকশালদের শীর্ষ নেতা-সহ খতম ১৮
    আজ তক | ১৭ এপ্রিল ২০২৪
  • দেশে প্রথম দফার ভোট হবে ১৯ এপ্রিল। ঠিক তার আগে ছত্তিশগড়ের কাঙ্কেরে এনকাউন্টার। পুলিশ ও নকশালদের মধ্যে সংঘর্ষে তিন জওয়ান জখম হয়েছেন। ছোট বেথিয়া থানা এলাকার মাদ এলাকায় এনকাউন্টার চলছে। জঙ্গল থেকে জখম জওয়ানদের সরিয়ে আনতে অতিরিক্ত ফোর্সও পাঠানো হয়েছে। এই এনকাউন্টারে খতম নকশাল কমান্ডার শঙ্কর রাও। বিপুল সংখ্যক রাইফেল সহ এখনও পর্যন্ত ১৮ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, এই সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্য জখম। 

    এনকাউন্টারে ১৮ জন নকশালকে খতম করা হয়েছে, এসপি কল্যাণ আলিসেলা একথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান, শীর্ষ নকশাল কমান্ডার শঙ্কর রাও নিহত হয়েছেন। শঙ্কর রাওয়ের মাথার দাম ছিল ২৫ লাখ টাকা। ৭টি AK47 রাইফেল, ১টি ইনসাস রাইফেল এবং ৩ এলএমজিও উদ্ধার করা হয়েছে। 

    সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, ওই এলাকায় মাও বিরোধী অভিযানে নামে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। দু পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় শুরু হয়। তিন নিরাপত্তাকর্মী জখম হন। 

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে, ছত্তিশগড়ের ১৪টি জেলা – বলরামপুর, বস্তার, বিজাপুর, দান্তেওয়াড়া, ধামতারি, গড়িয়াবন্দ, কাঙ্কের, কোন্ডাগাঁও, মহাসমুন্দ, নারায়ণপুর, রাজনান্দগাঁও, সুকমা, কবিরধাম এবং মুঙ্গেলি নকশাল প্রভাবিত। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরেই ছত্তিশগড়ে নকশাল হামলা কমছে না। যদি দেখা যায়, রাজ্যে প্রতি বছর গড়ে সাড়ে তিনশোর বেশি নকশাল হামলা হয়। এর মধ্যে প্রতি বছর গড়ে ৪৫ জন জওয়ান শহিদ হন। 

    গত বছরের মার্চ মাসে লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ছত্তিশগড়ে নকশাল হামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরেছিল। সেই বোতাবেক ২০২২ সালে রাজ্যে মোট ৩০৫টি নকশাল হামলা হয়েছিল। এর আগে, সরকার সংসদে বলেছিল যে গত বছর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (মাত্র দুই মাসে) ছত্তিশগড়ে নকশাল হামলায় ৭ জন সেনা শহিদ হন। পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৩ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ১০ বছরে ছত্তিশগড়ে ৩ হাজার ৪৪৭টি নকশাল হামলা হয়েছে। এই হামলায় ৪১৮ জন জওয়ান শহিদ হন। 
  • Link to this news (আজ তক)