• জ্বলছে ভারত, পাকিস্তান-আফগানিস্তানে ঝড়বৃষ্টিতে তুলকালাম! মৃত ১০০+
    ২৪ ঘন্টা | ১৭ এপ্রিল ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা বাংলা সহ গোটা দেশ। এমনকি তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে। গোটা সপ্তাহই তেতে পুড়ে ওষ্ঠাগত হবে দক্ষিণবঙ্গ। অন্যদিকে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েকদিন ধরে চলে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাত। যার জেরে হয় আকস্মিক বন্যা। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছে। ইতোমধ্যেই পাক-সরকার জরুরি পরিষেবাগুলিকে উচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।  পাকিস্তানের পাশাপাশি রাজধানী আফগানিস্তানেও একই দিনে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আকস্মিক বন্যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং পরিবহন চলাচল ব্যহত হয়েছে। বেশ কিছু ভিডিয়ো নেটমাধ্য়মে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা গিয়েছে, বৃষ্টির জলে সেখানের একাধিক কৃষিজমি ডুবে গিয়েছে। 

    পাকিস্তানে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখাওয়ায় বৃষ্টির কারণে ভূমিধস হয়েছে।  ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গাছ উপড়ে গিয়েছে। বৃষ্টির কারণে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশে কয়েক ডজন বাড়ি ধসে পড়েছে। প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে ২১ জন মারা গিয়েছে, এই সপ্তাহে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আরও ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার বিষয়ে সতর্ক করেছে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা কর্তৃপক্ষ।রাজধানী ইসলামাবাদেও বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশে ৭ জন নিহত হয়েছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশোয়ার এবং বেলুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটায় রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ টেলিভিশন মন্তব্যে বলেছেন যে তিনি কর্তৃপক্ষকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ এখন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এনডিএমএ) আবহাওয়ার তীব্র পরিস্থিতির পূর্বাভাসের মধ্যে জরুরি পরিষেবাগুলিকে সতর্ক থাকতে বলেছে।তবে এবার প্রথম নয়, এর আগে ২০২২ সালে বন্যায় পাকিস্তানের এক-তৃতীয়াংশ সম্পূর্ণভাবে বন্যায় ডুবে গিয়েছিল। সেই বন্যায় ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। কয়েক হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছিল। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)