জন্মহার তলানিতে, মৃত্যু বাড়ছে লাফিয়ে, ভয়ংকর বিপদের মুখে এই দেশ
২৪ ঘন্টা | ১৭ এপ্রিল ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্যাপারটিকে বলা হচ্ছে 'পপুলেশন কোলাপস'। এখনও সেই জায়গায় গিয়ে না পৌঁছলেও সেইদিকেই এগোচ্ছে গ্রীসের পরিস্থিতি। ব্যাপারটা কী? সাধারণভাবে আমরা জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। কিন্তু গ্রীস বা ইয়োরোপের অনেক দেশে ঠিক তার উল্টো। সেখানে জনসংখ্যা কমছে হু হু করে। কোথাও জন্মহার একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে। যেমন ইতালির কোনও কোনও জায়গা। আবার গ্রীসের মতো দেশে জন্মহার কমার পাশাপাশি মৃত্যুর হারও অত্যন্ত বেশি। অর্থাত্ জনসংখ্যা দ্রুত হারে কমছে। এটাই হল পপুলেশেন কোলাপস। এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এলন মাস্ক পর্যন্ত।
সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে হার্ট ফেলিওর, স্ট্রোক, শিরা-ধমনীতে রক্ত জমাট বেঁধে ও ক্যানসারে মৃত্যু হচ্ছে গ্রীসের বহু মানুষের। এদের মধ্যে অনেকই রয়েছেন তরুণ। এই সাম্প্রকিত প্রবণতাই গ্রীসে মৃত্যুর হারকে অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কারিয়াকস মিতসোটাকিস গোটা বিষয়টিকে জাতীয় বিপর্যয় বলছেন। পাশাপাশি দেশবাসীকে তিনি বলেছেন একটা টাইম বোম্ব আমাদের মাথার কাছে টিক টিক করছে।জনসংখ্যা কমার এই প্রবণতাকে ডিপপুলেশনও বলা হয়ে।এর অর্থ হঠাত্ করে কোনও জায়গায় জনসংখ্যা লক্ষ্যনীয়ভাবে কমে যাওয়া। ২০১১ থেকে ২০২১ এই ১০ বছরের গ্রীসের জন্মহার অন্তত ৩০ শতাংশ কমেছে। একটি পরিসংখ্যান বলছে প্রতিবছর দেশের জনমসংখ্যা কমেছে ৮৪ হাজার। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী ওই জনসংখ্যা হ্রাসের ফলে বছরে ২ বিলিয়ন ইউরো ক্ষতি হচ্ছে সরকারের। ওই সমীক্ষা বলছে ২০৫০ সালে গ্রীসের জনসংখ্য কমে যাবে ১০ লাখ। ২০২২ সালে দেশে মৃত্যুর সঙ্গে জন্মের অনুপাত ২ঃ ১। অর্থাত্ ২ জনের মৃত্যু হলে জন্মাচ্ছে ১ জন। এতেই কিছুটা আন্দাজ করা যায় পরিস্থিতিটা।