S Jaishankar: 'ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ বাঁধলে ভারতে ঊর্ধ্বমুুখী হবে তেলের দাম', আশঙ্কা জয়শংকরের
এই সময় | ১৭ এপ্রিল ২০২৪
ইরান-ইজরায়েল সংঘাত পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের চেহারা নিলে ভারতের উপর তার প্রভাব পড়বে মারাত্মক। বেঙ্গালুরুর একটি আলোচনাচক্রে যোগ দিয়ে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি বলেন, ‘উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা এবং সংঘাত যদি আরও বাড়ে তাহলে পশ্চিম এশিয়া থেকে আমদানিকৃত অপরিশোধিত তেলের দাম একলাফে অনেকটাই বেড়ে যাবে। আমদানির খরচ, জাহাজের খরচ, বিমানের খরচ, জ্বালানির খরচ সমস্তটাই বেড়ে যাবে।’
তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা বাড়ার কারণে তেলের দাম বাড়লে তার মারাত্মক প্রবাব পড়বে ভারতের উপর। আপাতত ইরানে আটক ইজরায়েলের জাহাজ থেকে ১৭ জন ভারতীয়কে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনা এখন ভারতের কাছে প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ। তার পাশাপশি এই সম্ভাব্য যুদ্ধকে রুখতে সাউথ ব্লক সক্রিয় পদক্ষেপ শুরু করেছে। জয়শংকর নিজে কথা বলেছেন ইজরায়েল এবং ইরানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে।
তবে একই সঙ্গে তিনি এও দাবি করেছেন এই সংঘাতের কোনও প্রবাব আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পড়বে না। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই নির্বাচনের খুব কাছাকাছি। আমরা মাস দেখছি না, আমরা সপ্তাহের দিকেও তাকাচ্ছি না। আমি মনে করি না এটি নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।’
তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে করা একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি হয় তাহলে এর প্রভাব লোকসভা ভোটে বিজেপির উপর পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, ইরান-ইজরয়েল সঙ্কট ভবিষ্যতে বিজেপির তথা দেশের অভ্যন্তরীণ আর্-রাজনৈতিক বৃ্তে ছায়াপাত করতে পারে। বিজেপির ভোটের ইশতেহারে এবং প্রচারে ভারত-পশ্চিম এশিয়া ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডরের কথা বলা হয়েছে। নয়াদিল্লির জি-২০ সম্মেলনর পর থেকেই একে মোদী সরকারের বড় জয় হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে শাসক দলের পক্ষ থেকে। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই এই প্রকল্পের সম্ভাবনা অনেকটা পিছিয়ে গিয়েছিল। পশ্চিম এশিয়ার বর্তমান সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে তা অদূর ভবিষ্যতে নিতান্তই অবাস্তব বলে মনে কর হচ্ছে।
অন্যদিকে, যুদ্ধের সম্ভাবনায় বড় ধাক্কা লাগার আশঙ্কা আছে ভারতের শেয়ার বাজারেও। উপসাগরীয় এলাকায় প্রায় ১ কোটি অনাবাসী ভারতীয় বসবাস করেন। বড় অঙ্কের বদেশিক মুদ্রা ভারতে আসে সেখান থেকেই। ফলে পস্চিম এশিয়ায় অস্থিরতা তৈরি হলে, একটা পড় চাপ ভারত সরকারের উপর আসতে পারে। রশিয়া থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল আমাদনি করলেও উপসাগরীয় অঞ্চল এখনও তেল এবং গ্যাস আমদানিতে ভারতের বৃহত্তম উৎস। ফলে তেলের দাম বাড়ার সম্ভাবনা ভারতের বাজারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।