দেশজুড়ে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে রামনবমী। অযোধ্যায় এ বছর সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে এই উৎসব। ৫০০ বছর পর রাম মন্দিরে পালিত হচ্ছে রামনবমী। ফলে রাম ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাস তুঙ্গে। এদিন রাম মন্দিরে একগুচ্ছ বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রয়েছে বৈজ্ঞানিক সূর্যতিলক অনুষ্ঠান।শুভেচ্ছা মোদী-মমতারবুধবার সকাল রামনবমী উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে মনের ভাব ব্যক্ত করে লেখেন, 'দেশজুড়ে আমার পরিবারের সকলকে শ্রীরামের জন্মোৎসব রামনবমীর অনের শুভেচ্ছা। এই পবিত্র উৎসবের দিন আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। নিজেকে কৃতার্থ মনে করছি। এটা শ্রীরামের কৃপা, এ বছর আমি কোটি কোটি দেশবাসীর সঙ্গে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার সাক্ষী থাকতে পেরেছি। অযোধ্যানগরীর সেই স্মৃতি এখনও আমার মনের মণিকোঠায় গাঁথা রয়েছে।' একইসঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর সংযোজন, 'অযোধ্যার পবিত্র রাম মন্দিরের আমাদের রামলালা বিরাজমান। এবার সেখানে প্রথমবার রামনবমী পালিত হচ্ছে। অযোধ্যায় আজ অত্যন্ত আনন্দের দিন। পাঁচ শাতাব্দীর অপেক্ষার পর অযোধ্যায় এমনভাবে রামনবমী পালনের সুযোগ পেয়েছি আমরা। যা দেশবাসীর এতগুলি বছরের কঠিন তপস্যা এবং ত্যাগের সুফল। প্রভু শ্রীরাম ভারতের জনগণের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছেন। অন্তরাত্মায় সমাহিত। রাম মন্দিরের প্রথম রামনবমীতে সেই সকল সাধু-সন্তদের স্মরণ করার সময় যারা রাম মন্দির নির্মাণের জন্য নিজেদের সঁপে দিয়েছিলেন।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রামনবমীতে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'রামনবমীর শুভেচ্ছা জানাই সকলকে। পাশাপাশি, শান্তি, সমৃদ্ধি এবং উন্নয়ন বজায় রাখার আবেদন জানাচ্ছি।'
রামনবমীতে রাম মন্দিরে হবে বিশেষ পুজোপাঠ। সূর্যাভিষেক হবে রামলালার। এই উপলক্ষে বিশেষভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে রাম জন্মভূমি। ভোর সাড়ে ৩টে থেকে রাম মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছে অযোধ্যানগরীতে। ইতিমধ্যেই রামলালার দিব্য অভিষেক সম্পন্ন হয়েছে। দুধ-কেসর দিয়ে স্নান করানো হয়েছে রামলালাকে। অপেক্ষা কেবল সূর্যতিলকের।
কী এই বৈজ্ঞানিক সূর্যতিলক?এ যেন বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এবং ধর্মের হাত ধরাধরি। ঠিক বেলা ১২টা বেজে ১৬ মিনিটে রামলালার কপাল থেকে 'জ্যোতি' বিচ্ছুরিত হবে। বেঙ্গালুরু ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিউট অফ অ্য়াস্ট্রো ফিজিক্স ও উত্তরাখণ্ডের রুরকির CBRI (Central Building Research Institute), বেঙ্গালুরুর অপটিক কোম্পানির চেষ্টায় এটি সম্ভব হতে চলেছে। এই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রধান অবদান রয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিউট অফ অ্যাস্ট্রো ফিজিক্সেরও। সূর্যের কৌণিক অবস্থান দেখেই ঘটনাটির পরিকল্পনা করা হয়েছে। সূর্যরশ্মি একটি আয়নায় পড়বে। রামলালার গর্ভগৃহে একটি আয়নাকে এমন ভাবে বসানো হবে যাতে সূর্যরশ্মি তাতে প্রতিফলিত সোজা রামলালার কপালে এসে পড়ে। পিতল ও ব্রোঞ্জ ব্যবহার করা হবে যাতে গোটা বিষয়টি দীর্ঘস্থায়ী হয়। ১০০টি জায়গায় LED স্ক্রিনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে এই সূর্যতিলক অনুষ্ঠান।