Maoist Operation : পা টিপে জঙ্গলে প্রবেশ, মাওবাদী ডেরা চারদিক থেকে ঘিরে পর পর গুলি! দেখুন বস্তার এনকাউন্টারের হাড়হিম ভিডিয়ো
এই সময় | ১৭ এপ্রিল ২০২৪
ঘন জঙ্গল। সন্তর্পণে পা টিপে টিপে প্রবেশ। আর তারপরই অতর্কিতে গুলি। প্রথম দফা লোকসভা ভোটের আগে মাওবাদী দমনে ছত্তিসগড়ে বড়সড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ ২৯ জন মাওবাদী। তার মধ্যেই রয়েছে তিন শীর্ষ মাওবাদী নেতা। সেই হাড়হিম করা অপারেশনের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যা দেখে শিউরে উঠছেন নেটিজেনরা। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল।পা টিপে টিপে বস্তারে মাওবাদীদের ডেরায় প্রবেশ। জঙ্গলে গাছের পাতার খসখসানি শব্দ। মঙ্গলবার দুপুর ঠিক ২টো। মাওবাদী অধ্যুষিত কাঁকের জেলায় ঢুকে বড়সড় অপারেশন নিরাপত্তাবাহিনীর। এনকাউন্টারে ২৯ জন স্কোয়াড সদস্যকে খতম করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন শীর্ষ মাওবাদী শংকর রাও। রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে যার মাথার দাম ধার্য ছিল ২৫ লাখ টাকা। রাজনন্দগাঁও এবং মধ্য প্রদেশের সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন বিনোদ। তাঁরও মাথার দাম ছিল ১০ লাখ টাকা। গুলির লড়াইয়ে শীর্ষস্থানীয় মাওবাদী বিনোদ এবং ললিতাও নিহত হয়েছেন বলে জানানো গিয়েছে। নিহত স্কোয়াড সদস্যদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে সাতটি একে-৪৭, একাধিক লাইট মেশিনগান এবং ৩০০ রাউন্ড গুলি। দু'পক্ষের সংঘর্ষে জখম হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর তিন জওয়ানও। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। সাম্প্রতিক কালের মধ্যে নকশাল দমনে এটিই সবথেকে বড় অপারেশন বলে দাবি নিরাপত্তাবাহিনীর।
আগামী ১৯ এপ্রিল বস্তারে ভোট। তার আগে পোস্টার দিয়ে ভোট বানচালের হুমকি দিয়েছিল মাওবাদীরা। ফলে বস্তার-কাঁকের-দান্তেওয়াড়া এলাকায় সোর্স বাড়িয়ে বেশ কিছু স্ট্র্যাটেজি নেয় নিরাপত্তাবাহিনী। সেই সূত্রেই এই সাফল্য বলে দাবি। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে কাঁকের জেলার বিনাগুন্ডা গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে মাওবাদী ঘাঁটিতে স্কোয়াড সদস্যদের জমায়েতের খবর পাওয়া যায়। তারপই সেই ডেরায় হামলার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়। সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে দুপুর দুটো নাগাদ ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (DSG) এবং BSF যৌথ অভিযান শুরু করে।
এরপরই জঙ্গলের চার দিক থেকে সশস্ত্র মাওবাদী স্কোয়াড সদস্যদের ঘিরে ফেলে যৌথ বাহিনী। সাঁড়াশি আক্রমণের শিকার হয়েছে বুঝতে পেরে পালটা গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরাও। এরপর ব্রাশ ফায়ারিং শুরু করেন বাহিনীর জওয়ানরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে টানা গুলির লড়াই চলে। বিকেলের দিকে মাওবাদীদের তরফ থেকে গুলির আওয়াজ কমতে শুরু করে। জঙ্গলের মধ্যে মাওবাদী ডেরার কাছাকাছি পৌঁছে যায় নিরাপত্তাবাহিনী। আড়াল থেকে তাদের উপর গুলি চালিয়ে পালানোর ছক কষেছিল একদল মাওবাদী। আগে থেকে তা আন্দাজ করে অপারেশম চালায় বাহিনী। ফলে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে জওয়ানদের গুলিতে সেখানে কয়েকজন নিহত হন।
কাঁকেরের পুলিশ সুপার কল্যাণ এলেসেলা সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, 'শীর্ষ মাওবাদী শংকর রাও ছাড়াও বিনোদ গাওড়ে এবং মহিলা সদস্য ললিতাও নিহত হয়েছেন এই অপারেশনে।' আইজি পি সুন্দররাজ বলেন, 'বস্তার রেঞ্জে এটিই সম্ভবত সবথেকে বড় সফল অপারেশন। সূত্র মারফত খবর আসে যে, বিনাগুন্ডা এবং কোরোনার এলাকার ছোটবেঠিয়ার গভীর জঙ্গলে মাওবাদীদের স্কোয়াড সদস্যরা জমায়েত হয়েছে। নিশ্চিত হওয়ার পরেই সেখানে অভিযান চালানো হয়।' বস্তারের বাসিন্দাদের নির্ভয় ভোট দিতে যাওয়ার জন্যও আবেদন জানানো হয়েছে।