ওডিশায় বাস দুর্ঘটনায় মৃতদের দেহ ফিরল রাজ্যে, পরিবারের কাছে হস্তান্তর
এই সময় | ১৭ এপ্রিল ২০২৪
ওড়িশার জাজপুরে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৪ জনের। পাশাপাশি আহত হয়েছেন জেলার ১২ জন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জরুরি তৎপরতায় মৃতদেহগুলি ফিরিয়ে আনা হয়। এগরার মহকুমা শাসকের নির্দেশে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ৪ টি মৃতদেহ। মহকুমা শাসক মঞ্জিত কুমার যাদব, এগরার থানার আইসি অরুণকুমার খাঁ ও স্থানীয় বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতির উপস্থিতিতে মৃতদেহগুলি শনাক্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দেহগুলিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এগরার বিধায়ক।দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই তৎপরতা বেড়ে যায় জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের। প্রতিবেশী রাজ্য ওডিশার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আহতদের সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা ও মৃদেহগুলি রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয় দ্রুততার সঙ্গে। দুর্ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী মৃতদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের পাশাপাশি শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরাও স্বজনহারা পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পুরী কমবেশি ৫০ জন যাত্রীকে নিয়ে রওনা দিয়েছিল ওই বাসটি। আচমকাই ওডিশার জাজপুরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বারাবতী ব্রিজের উপর থেকে যাত্রীবোঝাই বাসটি সরাসরি নীচে গিয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জাজপুর পুলিশ। একইসঙ্গে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। সঙ্গে পৌঁছয় দমকল বাহিনীও। গ্যাস কাটার দিয়ে বাসটির বাইরের দেওয়াল কেটে ভিতরে আটকে থাকা যাত্রীদের বের করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নিকটবর্তী ধর্মশালার কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৩৫ জনকে কটকের এসসিবি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
সূত্রের খবর, আহতদের অনেকেই জানিয়েছেন, অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চালান হচ্ছিল বাসটি। সেই সময়ই জাতীয় সড়কের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। আর তার জেরেই ঘটে যায় ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনা। আহতদের চোখে-মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। সূত্র মারফৎ আরও জানা দিয়েছে, বাসের যাঁরা যাত্রী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই পুরীতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। আবার অনেকে চিকিৎসার জন্যও গিয়েছিলেন প্রতিবেশী রাজ্য ওডিশায়। কিন্তু ফেরার পথে যে এমন ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হবে তা কখনও কল্পনাও করতে পারেননি তাঁরা।