• ল্যাংচার পর ভ্যারেন্ডা ভাজবেন, কীর্তির ভূমিকায় মন্তব্য দিলীপের
    এই সময় | ১৭ এপ্রিল ২০২৪
  • রূপক মজুমদার, বর্ধমান

    প্রচারে বেরিয়ে শক্তিগড়ে ল্যাংচা ভেজেছিলেন কীর্তি আজাদ। তার জবাবে সেই শক্তিগড়েই দিলীপ ঘোষ বললেন, উনি এবার ভ্যারেন্ডা ভাজবেন। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি, তৃণমূল প্রার্থীর তরজা জমে উঠেছে। প্রতিদিনই প্রাতর্ভ্রমণে নিয়ম করে কীর্তি আজাদকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করছেন দিলীপ। কীর্তিও পাল্টা জবাব দিচ্ছেন। নিজের মতো করে টক্কর দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।কয়েকদিন আগে বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারে বেরিয়েছিলেন কীর্তি। শক্তিগড়ের আমড়ায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি মিষ্টির দোকানে ঢুকে ল্যাংচাও ভেজেছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন খেলোয়াড়। পরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে দোকানে বসে খেয়েছিলেন ল্যাংচা। মঙ্গলবার কলকাতা থেকে দুর্গপুর যাওয়ার পথে সেই জায়গাতেই প্রচার করছিলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।

    তাঁর কাছে কীর্তি আজাদের ল্যাংচা ভাজার প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে বলেন, ‘আমি তো ভাজাভাজি করি না। উনি এবার ভ্যারেন্ডাও ভাজবেন। আমি তো এসেছি ল্যাংচা খেতে। উনি প্রথম এসেছেন তো। আমরা অনেক বছর আসছি এখানে। ল্যাংচাটাও জানি, মিহিদানা-সীতাভোগ সবই জানি। সব চেয়ে বড় কথা, আমি এখানকার লোকের ভালোবাসাটা খেতে চাই।’ তাহলে কি কীর্তি আজাদ ভাজবেন আর উনি সেটা বসে খাবেন? এমন প্রশ্নে দিলীপের সাফ জবাব, ‘যার কপালে যা আছে তাকে তা ভাজতে হবে। কেউ পাঁপড় ভাজছে, কেউ ভ্যারেন্ডা ভাজছে।’

    কীর্তি আজাদ এই এলাকায় প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প মিষ্টি হাবের প্রসঙ্গও টেনে এনেছিলেন। বলেছিলেন, ‘এটা দিদির স্বপ্ন ছিল। এখানে সারা বাংলার মিষ্টি এক জায়গায় পাওয়া যাবে। আর সেই স্বপ্ন সত্যি হবেই। আমি জেতার পরে ফের নতুন করে উদ্যোগী হব। এই এলাকায় মিষ্টি হাব তৈরির বিষয়ে দিদির সঙ্গে কথা বলব।’ এদিন সে প্রসঙ্গও তোলা হয় দিলীপ ঘোষের কাছে।

    জবাবে তিনি বলেন, ‘আগে ওঁকে বলুন বাংলাটাকে ভালো করে চিনতে। আর কলকাতাকে লন্ডন বানানোর স্বপ্ন কার ছিল সেটাও বাংলার মানুষ জানেন। বর্তমানে কলকাতার কী অবস্থা সেটাও জানেন সবাই।’

    এদিন বর্ধমানে কর্মিসভায় এসেছিলেন কীর্তি আজাদ। দিলীপের মন্তব্য নিয়ে তাঁর জবাব, ‘একটা পাগল লোক, প্রতিদিন পাগলামি করবে আর আমাকে তার উত্তর দিতে হবে নাকি? আসলে ওঁর অবস্থা সেই জমিদারের মতো। সব কিছু লুট কর, মারধর কর। জোর করে খাজনা আদায় কর। বিজেপি দলের এটাই শিক্ষা। সে জন্যেই বাংলার হকের টাকা আটকে রাখে।’
  • Link to this news (এই সময়)