মাঝে আর একটা দিন, তারপরেই শুরু লোকসভা নির্বাচন। তার আগে আজ তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ। বিগত নির্বাচনগুলির ধারা দেখে এবারেও তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহারে জনমুখী ছাপ থাকবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ। সেক্ষেত্রে এবারে ঘাসফুল শিবিরের ইস্তাহারে কী কী চমক থাকতে পারে, তাই নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে কৌতুহল। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এর আগে ২০২১ ও ২০১৯ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে ঠিক কোন কোন বিষয়ের উপরে জোর দিয়েছিল তৃণমূল।২০২১ সালের ইস্তেহারদেশের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। জিডিপি-র আয়তন ১২.৫ লাখ কোটি ও বার্ষিক মাথাপিছু আয় ২.৫ লাখেরও বেশি।বাংলার প্রত্যেক পরিবারের ন্যূনতম মাসিক আয় সুনিশ্চিত করার জন্য নতুন প্রকল্প। ১.৬ কোটি যোগ্য পরিবারের কর্ত্রীকে মাসিক আর্থিক সহায়তা। জেনারেল ক্যাটাগরিতে মাসিক ৫০০ টাকা করে এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারগুলিকে মাসিক ১০০০ টাকা করে।বাংলার যুবদের সাবলম্বী করতে সকল যোগ্য পড়ুয়াদের জন্য নতুন প্রকল্প। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ৪% সুদে ১০ লাখ ক্রেডিড লিমিট।খাদ্যসাথী প্রকল্পে নতুন ব্যবস্থা। রেশন দোকানে যাওয়ার দরকার নেই, ১.৫ কোটি পরিবারের দুয়ারে মাসিক রেশন সরবরাহ।কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে বার্ষিক ১০,০০০ একর পিছু ৬৮ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে সহায়তা।বার্ষিক ১০ লাখ নতুন এমএসএমই এবং সর্বমোট সক্রিয় এমএসএমই ইউনিটের সংখ্যা ১.৫ কোটির বেশি।স্বাস্থ্যে ব্যয় বরাদ্দ দ্বিগুণ, রাজ্যের জিডিপি-র ০.৮৩% থেকে বেড়ে ১.৫%।শিক্ষায় ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি, রাজ্যের জিডিপি-র ২.৭% থেকে বেড়ে ৪%।বাংলার বাড়ি প্রকল্পে আরও ৫ লাখ স্বল্প মূল্যের আবাসন, বস্তিবাসীর সংখ্যা ৭% থেকে কমিয়ে ৩.৬৫% করা।আরও ৪৭ লক্ষ পরিবারকে নলযুক্ত পানীয় জল, অর্থাৎ ২৬% থেকে বেড়ে ১০০% পরিষেবা সুনিশ্চিত করা।
২০১৯ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারবিপদজনক ও জনবিরোধী নোটবাতিল কার স্বার্থে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত। সুপ্রিম কোর্টের কোনও প্রাক্তন বিচারপতির মাধ্যমে সেই তদন্ত করা হবে।দেশের ছাত্র ও যুবক-যুবতীদের আরও বেশি পরিমাণ কর্মসংস্থান।SC/ST এবং OBC (সংখ্যালঘুসহ) মানুষদের জন্য সংরক্ষিত প্রতিটি আসন পূর্ণ করার উপরে বিশেষ জোর।কৃষকদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা এবং জীবিকা নির্বাহের বন্দোবস্ত করা এবং কৃষকরা যাতে কম দামে উৎপাদিত শস্য বিক্রি করতে বাধ্য না হন সেই বিষয়ে নজর রাখা।অসংগঠিত ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিমাণে সামাজিক সুরক্ষা প্রদান।নারীদের ক্ষমতায়নের দিকে বিশেষ নজর।মুক্তমনে জিএসটি নিয়ে পর্যালোচনা, যাতে তার মাধ্যমে জনসাধারণ, ক্রেতা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থা উপকৃত হয়।১০০ দিনের কাজের প্রকল্পটিকে ২০০ দিনে রূপায়িত করা এবং মজুরীর পরিমাণ দ্বিগুণ করে আয়কে সুনিশ্চিত।যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে আরও সমৃদ্ধ করতে, প্ল্যানিং কমিশনের একটি নতুন মডেল নির্ধারণ করে, রাজ্যগুলির সঙ্গে লাগাতার আলোচনা বজায় রাখা।উন্নত সামাজিক পরিকাঠামোর স্বার্থে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগ বাড়ানো, যাতে তার সুবিধা সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।দেশের মানুষের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে, খেলাধুলা সহ সকল সাংস্কৃতিক ভাবধারাকে উৎসাহ দেওয়া।দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া, যাতে শিল্প, কৃষি এবং পরিষেবা, প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফুটে ওঠে।