• Matthew Miller: 'ঘরে ঢুকে জঙ্গিদের মারব'! মোদীর মন্তব্যে কী প্রতিক্রিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের?
    এই সময় | ১৭ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাদান করুক ভারত-পাকিস্তান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য করে বলেছেন যে, ভারত ও পাকিস্তানের উচিত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘আমি আগেই বলেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর মাঝখানে প্রবেশ করবে না। তবে আমরা ভারত-পাকিস্তান উভয়কেই উত্তেজনা এড়াতে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে পেতে উৎসাহিত করি।’ প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘ভারত সন্ত্রাসীদের হত্যা করতে সীমান্ত অতিক্রম করতে দ্বিধা করবে না।‘

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয় যে, ভারত পাকিস্তানে একাধিক প্রায় ২০ জনকে হত্যা করেছে। যদিও ভারতের তরফে এই দাবি দাবিগুলিকে মিথ্যা এবং বিদ্বেষপূর্ণ ভারত বিরোধী প্রচার বলে প্রত্যাখ্যান করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগেই বলেছিল যে তারা হত্যার অভিযোগ নিয়ে ভারত-পাকিস্তান বিবাদে হস্তক্ষেপ করবে না।

    ব্রিটিশ সংবাদপত্রে বেরনো সেই প্রতিবেদনের য়েকদিন পর, উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশে একটি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আজ দেশে শক্তিশালী সরকার রয়েছে। এই মজবুত মোদী সরকারের অধীনে অতঙ্কওয়াদিও কো ঘর মে ঘুস কে মারা যাতা হ্যায়।’ অর্থাৎ শক্তিশালী মোদী সরকারের অধীনে বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাসীদের হত্যা করা হচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পর ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও বলেন যে, সরকার সন্ত্রাসীদের রেহাই দেবে না যারা দেশের শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করে। তারা পাকিস্তানে ফিরে গেলে তদের শিকার করা হবে।

    অন্যদিকে, পাকিস্তান এই মন্তবয়গুলিকে উস্কানিমূলক বলে অভিহিত করেছে এবং বলেচে যে এই ধরণের বক্তৃতা শুধুমাত্র দীর্ঘমেয়াদে গঠনমূলক সম্পৃক্ততার সম্ভাবনকে বাধা দেয়। পাকিস্তান সর্বদা এই অঞ্চলে শান্তির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে বলে পাল্টা দাবি করে পাকিস্তান।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ওই বিদেশি মিডিয়ার প্রতিবেদনে ভারত ও পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি করা হয় যে ভারতের এই পদক্ষেপ বিদেশের মাটিতে বসবাসকারী সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার একটি বৃহত্তর কৌশলের অংশ। এরপরই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের আগের একটি বিবৃতিকে আন্ডারলাইন করে দেখানো হয়, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে অন্যান্য দেশে লক্ষ্যবস্তু হত্যা ‘ভারত সরকারের নীতি নয়।‘
  • Link to this news (এই সময়)