Om Birla: বদলাবে ‘কোটা ফ্যাক্টরি’? চ্যালেঞ্জ বিদায়ী স্পিকারের
এই সময় | ১৭ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়, নয়াদিল্লি: ভোটের লড়াইটা একটা রেস তো বটেই! এখানে সেই রেসেও বড় ইস্যু হলো আর একটা রেস! কারণ, জায়গাটা যে রাজস্থানের কোটা। উচ্চশিক্ষা ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সফল হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে সফল হতে না-পেরে কোটায় পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঊর্ধ্বগামী ট্রেন্ড উদ্বেগ বাড়িয়েছে গোটা দেশের। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে ভোট প্রচারে কোনওভাবেই বাদ থাকতে পারে না কোটার পড়ুয়াদের কথা।লোকসভার বিদায়ী স্পিকার ওম বিড়লা এবারও রাজস্থানের কোটা-বুন্দি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। প্রায় প্রতিটি জনসভাতেই তাঁর কথায় উঠে আসছে কোটার পড়ুয়াদের কথা। প্রায় প্রতিটি জনসভাতেই মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে ওম বিড়লাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘এখানকার প্রতিটি পড়ুয়ার আত্মহত্যায় ব্যক্তিগত আঘাত পাই। আমার মর্মে আঘাত লাগে। মনে হয়, প্রতিবার স্বজনহারা হই৷ চেষ্টা করব, এই পরিস্থিতি বদলাতে৷ কোনও পরিবার যাতে সন্তানহারা না হন, তার জন্য আমার চেষ্টায় কোনও ত্রুটি থাকবে না৷’
পরিসংখ্যান বলছে, শুধু গত বছরেই কোটায় আত্মহত্যা করেছেন ২৬ জন মেধাবী পড়ুয়া৷ এখন রাজস্থানের কোটা শহরকে গোটা দেশের সুইসাইড ক্যাপিটাল বলেও অনেকে উল্লেখ করছেন৷ এই আবহে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের প্রতিটি প্রান্তে দাঁড়িয়ে ওম বিড়লাকে বলতে হচ্ছে, ভোটে জয়ী হলে তাঁর প্রথম পদক্ষেপই হবে কোটার আত্মহত্যার পরিস্থিতির বদল ঘটানো৷
শুধু আশ্বাসে চিড়ে ভিজবে না—এটা বুঝে প্রতিটি জনসভায় উপস্থিত আমজনতা বিশেষ করে, যুব সম্প্রদায়ের কাউন্সেলিংও করছেন বিদায়ী স্পিকার৷ একের পর এক জনসভায় দাঁড়িয়ে ওম বিড়লার পরামর্শ, ‘সবার জীবনেই কঠিন সময় আসবে৷ এই ক্ষেত্রে টেনশন বেড়ে গেলে দশ মিনিট মাথা ঠান্ডা করে বসতে হবে। তড়িঘড়ি কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না৷ মনে রাখতে হবে, জীবন অনেক লম্বা। এখানে ধৈর্য হারালে হবে না৷’ পরের জনসভাতেও তাঁর একই কথা, ‘ভুলে যাবেন না, এখানকার সব পড়ুয়া আসলে আমার নিজের পরিবারের সদস্য৷ আমরা সবাই একটি পরিবারের অংশ।’
২০০৩ সাল থেকে কোটায় জয়ী হচ্ছেন ওম বিড়লা৷ প্রথমে বিধানসভা এবং পরে লোকসভার ভোটে এখানে তিনি কার্যত অপ্রতিদ্বন্দ্বী৷ তারপরেও পরিশ্রমে ঘাটতি নেই তাঁর৷ সকাল সাড়ে সাতটা থেকে শুরু করে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রতিদিন নির্বাচনী প্রচার, মিটিং মিছিল করছেন তিনি৷ ‘মোদীর গ্যারান্টি’ যদি তাঁর প্রচারের অস্ত্র হয়, তাহলে চ্যালেঞ্জটা অবশ্যই ‘কোটা ফ্যাক্টরির’ ছবিটা বদলানো।