রামবনমীতে অশান্তি হতে পারে। এই আশঙ্কা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ। তিনি একাধিক জনসভা থেকে আশঙ্কা করেছিলেন, রামনবমীর দিন অশান্তি হতে পারে। সেজন্য সতর্কও করেছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, রামনবমী উপলক্ষ্যে মোট ২০০ অনুমতি চাওয়া হয়েছিল লালবাজারের কাছে। সেই সব মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেই সব মিছিলে ২০০ জনের বেশি থাকা যাবে না। জানিয়ে দিয়েছে লালবাজার।
মিছিলে কতজন থাকতে পারবে তার পাশাপাশি আরও নির্দেশিকা আছে। লালবাজারের নির্দেশ, মিছিলে কোনওরকম অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। প্রতি মিছিলে অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদা একজন পুলিস আধিকারিক থাকবেন। অশান্তি রুখতে প্রায় ৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি চালাবে পুলিশ।
এর আগে ১৫ এপ্রিল কোচবিহারের সভা থেকে রামনবমী নিয়ে সংখ্যালঘুদের বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্য করে মমতা বলেছিলেন, বলেন, 'আমি সংখ্যালঘু ভাইবোনদের বলব, যদি দেখেন শ্লোগান দিচ্ছে, ১৭ তারিখ, ওটা ওদের দাঙ্গা করার দিন। আমি মনে করি, ওটা মানুষের সম্মানের দিন হোক। ঐক্যের দিন হোক। গালাগালি দিলে মাথা ঠান্ডা করেও আল্লার নামে প্রে করবেন। ওদের বিদায় চাইবেন। কিন্তু কেউ কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমাদের শান্তিরক্ষা করতে হবে। ওরা চাই দাঙ্গা করে NIA ঢুকিয়ে দিয়ে ভোটটা যাতে না হয়। আর ভোটটা যাতে ওরা ছাপ্পা মেরে দেয়।'
প্রসঙ্গত, গত বছর রামনবমী উপলক্ষ্যে অশান্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর ও উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা। হুগলিতেও বিবাদ বাধে। সেই সব ঘটনায় অশান্ ছড়ায়। চলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। দুপক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। একাধিক গ্রেফতারও করে পুলিশ।