• Election Campaign : নির্বাচন হোক প্লাস্টিক বর্জিত রায় সমীক্ষায়
    এই সময় | ১৭ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়: শহর মুড়ে যায় ফ্লেক্স-ব্যানারে। ঢালাও ব্যবহার করা হয় প্লাস্টিকের পতাকা এবং অন্য নির্বাচনী প্রচারের সামগ্রী। ভোট পর্ব মিটে যায়, কিন্তু শহর থেকে সরে না ওইসব ফ্লেক্স-ব্যানার। নর্দমার মুখ বন্ধ করে দেয় পড়ে থাকা ভোট প্রচারের প্লাস্টিক। যাঁরা ভোট দেন, তাঁরা কি আদৌ চান পরিবেশকে থোড়াই কেয়ার করে এমন ক্ষতিকর প্রচার?পরের মুখে ঝাল খাওয়া নয়, সরাসরি ভোটারদের থেকেই তাঁদের জবাব জেনে নিতে সমীক্ষা চালাল জনকল্যাণকর সংস্থা ফিউচার ফর নেচার। নির্বাচনী প্রচারে প্লাস্টিক বর্জনের সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বলেই জানাচ্ছেন সংস্থার সদস্যরা।

    মাত্র ছ’টি প্রশ্ন। আর তাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল ভোটারদের মত। পরিবেশ নষ্ট করে নির্বাচনী প্রচার কোনও ভাবেই যে চাইছেন না তাঁরা, সেই বিষয়টা বুঝিয়ে দিতে কার্পণ্য করেননি শহরের ভোটাররা। ব্যালট পেপারের বদলে যেমন ইভিএম-এর ব্যবহার শুরু হয়েছে, তেমনই নির্বাচনী প্রচারেও আরও বেশি করে বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দ্বারস্থ হোক রাজনৈতিক দলগুলো — এমনটাই চাইছেন বিভিন্ন বয়সী ভোটাররা।

    কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলের ৩২০ জন ভোটারের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন ফিউচার ফর নেচার সংগঠনের পরিবেশবিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী, শুভ্রদীপ ঘোষ, রাজদূত সামন্ত, সৌভিক পাল এবং তিয়াসা আঢ্যরা। সমীক্ষায় যে প্রশ্নগুলো ছিল সেগুলো হলো, নির্বাচনের নিয়ন্ত্রকদের প্লাস্টিক বর্জ্যর পরিমাণ কমাতে কী করা উচিত, ভোট দেওয়ার আগে আপনি রাজনৈতিক দলগুলোর পরিবেশরক্ষা সংক্রান্ত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চান, নির্বাচনী প্রচারের পরিকল্পনায় রাজনৈতিক দলগুলোর কি পরিবেশ-বান্ধব সামগ্রী ব্যবহারে জোর দেওয়া উচিত নয়, প্রচারে মাত্রাতিরিক্ত প্লাস্টিকের ব্যবহার করা হচ্ছে? এজন্য প্রয়োজনীয় কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়?

    সংস্থার পক্ষ থেকে পরিবেশবিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী বলেন, ‘প্রতিটি প্রশ্নের জবাবেই আমরা দেখেছি ভোটাররা প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এই মতামত একেবারেই স্বতঃস্ফূর্ত। এর আগে ভোটারদের মত জানতে এমন সমীক্ষা করা হয়নি। যে ভাবে ভোটাররা নির্বাচনী প্রচারে দূষণের বিরুদ্ধে তাঁদের মত প্রকাশ করেছেন তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, রাজনৈতিক দলগুলোর অ্যাজেন্ডায় এবার পরিবেশরক্ষার বিষয়টি আনার সময় হয়েছে। নেতাদের প্রচারের ধরনও বদলে ফেলার সময় এসে গিয়েছে।’
  • Link to this news (এই সময়)