হুংকার শোনা গিয়েছিল অনেক তাবড় তাবড় নেতাদের কণ্ঠে। শেষমেশ ডায়মন্ড হারবার নিয়ে BJP-র 'বিগ অ্যানাউন্সমেন্ট', প্রার্থী অভিজিৎ দাস ওরফে ববি।২০০৯-২০১৪- দুই লোকসভা নির্বাচনে ববির ‘মার্কশিট’
সুরেন্দ্রনাথ কলেজের প্রাক্তনী ববি ডায়মন্ড হারবারের লোকসভা নির্বাচনে এই প্রথম ‘পরীক্ষার্থী’ নন। এর আগেও দু’দুবার ২০০৯-২০১৪ সালে তিনি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে BJP-র টিকিটে ভোটে লড়েছিলেন।
২০০৯ সালে পালাবদলের আগে তিনি ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে BJP-র প্রতীকে লড়াই করেন। তিনি সেই বছর ভোট পান মাত্র ৩৭ হাজার ৫৪২। ২০১৪ সালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে BJP প্রার্থী ববি খুব একটা 'হালে পানি পাননি'। পেয়েছিলেন ২ লাখ ৮৫৮ ভোট। অতীতের এই রেকর্ড নিয়েই ববির হুংকার—’অভিষেকের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে’।
তাঁকে প্রার্থী করে কি ‘লুস বল’ দিয়েছে BJP? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘BJP কি এমন দল বলে মনে করেন? এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।’ ২০০৯, ২০১৪ সালের পর ২০১৯-এ ব্রেক, কেন সংশ্লিষ্ট লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করা হল না?
এই প্রসঙ্গে ববি বলেন, ‘২০১৯ সালে আমি জেলা সভাপতি ছিলাম। দুটো লোকসভা একসঙ্গে সামাল দিতে হত। ডায়মন্ড হারবারে ১৯৯৫ থেকে ২০০৯ সাল কোনও প্রার্থী দেওয়া হয়নি। ২০০৯ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাকি তিনটে কেন্দ্রের থেকে বেশি ভোট পেয়েছিলাম। এখন আমি আর জেলা সভাপতি নেই। সেই দায়িত্বটাও নেই।’
কেন তাঁকে প্রার্থী ঘোষণায় এত বিলম্ব কেন? ববি বলেন, ‘আমার তো এতে সুবিধাই হয়েছে। চুপচাপ নিজের কাজগুলো করে গিয়েছি। গত দেড় মাসে অন্তবর্তী যে কাজগুলো রয়েছে সেগুলো করে গিয়েছি।’
দলের নেতা দিলীপ ঘোষও প্রশ্ন তুলেছেন, ববিকে দাঁড় করানো হলে আগে কেন নাম ঘোষণা করা হল না! এই প্রসঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের BJP প্রার্থীর দাবি, ‘আসলে দিলীপ ঘোষ অতিরিক্ত স্নেহ থেকে এই কথা বলেছেন। তাঁর হাত ধরেই আমার RSS-এ যোগদান করা।’
লোকসভা নির্বাচনে অন্যান্য বাকি আসনগুলিতে প্রার্থী ঘোষণা করলেও ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী ভাগ্য দীর্ঘ দিন ঝুলে ছিল। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কাকে প্রার্থী করা হবে? তা নিয়ে একাধিক নাম উঠে আসছিল। শেষমেশ মঙ্গলবার ববির নাম ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির।