জিরো ডিগ্রিতে উদল গায়ে যোগ ব্যায়াম! ভাইরাল জাতিসংঘের বাঙালি কূটনীতিকের কীর্তি
এই সময় | ১৮ এপ্রিল ২০২৪
চিনে জাতিসংঘের প্রধান সিদ্ধার্ত চ্যাটার্জি, আপাতত চিনা সোশ্যাল মিডিয় কাঁপাচ্ছেন এই বঙ্গসন্তান।সাব জিরো তাপমাত্রায় শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম সহ তাঁর কঠিন যোগব্যায়াম এবং ফিটনেসের কাজগুলি প্রদর্শন করেচেন, যা তাকে শারীরিক এবং মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করেছে।জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জি সম্প্রতি গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলনের কার্যকারিতার উপর একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছেন, যা তিনি বলেছিলেন যে কোভিড-১৯-এর মতো ভাইরাস থেকে বাঁচাবে।
সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জির ‘ভাল স্বাস্ত্যের জন্য শ্বাস’ শিরোনামের সাড়ে চার মিনিটের ডকুমেন্টারিটি প্রাচীন সংস্কৃত প্রতীক ওম উচ্চারণের মদ্যে দিয়ে শুরু হয়। বেজিংয়ের একটি হিমায়িত হ্রদের বিচানায় শার্টবিহীন বসে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম অনুশীলন করেন। এবং একই সঙ্গে শিরশো আসন বা হেডস্ট্যান্ড অনুশীলন করে চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন।
‘আমরা যখন পৃথিবীতে আসি খন শ্বাস-প্রশ্বাস হল প্রথম কাজ এবং আমরা যখন এটি ছেড়ে চলে যাই তখন শেষ কাজটি করি।’
৬০ বছর বয়সে সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জি বলেছিলেন যে তিনি যখন ২০২০ সালে চিনে জাতিসংঘের প্রধান কূটনীতিক হিসাবে নিযুক্ত হন, তখন তিনি উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ হৃদস্পন্দনের সাথে প্রাক ডায়েটিক সহ স্থূলতার কাছাকাছি ছিলেন। এরপর উচ্চ তীব্র শ্বাস-প্রশ্বাস, উপবাস এবং ঠান্ডা এক্সপোসারের সাথে তিনি স্বাভাবিক রক্তচাপ এবং অন্যান্য মানসম্মত স্বাস্থ্যের পরিমিতিগুলি অর্জন করতে গিয়ে ২৫ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফেলেন।যা তাঁকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে খুব ফিট থাকতে সাহায্য করেছিল।
চিনে জাতিসংঘের ২৬ টি অফিসের প্রধানের জন্য তাঁর নিয়োগ হয়েছে। কারণ এটি পূর্ব লাদাখ স্থবিরতা নিয়ে ভারত-চিন উত্তেজনার মধ্যে এসেছিল যা এখনও অমীমাংসিত।
সিদ্ধার্ত চ্যাটার্জির পরিবার বাংলাদেশ থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় কলকাতায় চলে এসেছিল। পরে ভারতীয় শান্তিবাহিনীতে পোস্টিং সহ অভিজাত প্যারা রেজিমেন্টে চাকরিরত একজন ভারতীয় সামরিক অফিসার হয়ে ওঠেন। ১৯৯৫ সালে শ্রীলঙ্কায় এবং ভারতের উত্তর পূর্বে বিদ্রোহ বিরোধী অভিযানে বীরত্বের জন্য ১৯৯৫ সালে তিনি ভূষিত হন।
তিনবছর বয়সে তিনি পোলিওতে আক্রান্ত হন। সেখান থেকে পরে ১৯৮১ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে প্রবেশ করেন। এরপর একজন সেরা পোলো খেলোয়াড় এবং সেরা বক্সারের খেতাব জেতেন তিনি। তারপর তিনি যোগ দেন অভিজাত প্যারা রেজিমেন্টে।
পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তাঁর পরিবারেরও ভারত-চিন সংযোগ রয়েছে। তিনি চিনে জাতিসংঘের মিশনের প্রধান থাকার সময় তাঁর স্ত্রী বান হিউন হি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ভারতে ইউনিসেফের সামাজিক নীতির প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন।