এই সময়: পাকিস্তানের কোর্টে-কোর্টে মরণপণ লড়ছেন মুম্বইয়ের তরুণী ফরজ়ানা বেগম। লড়ছেন দুই সন্তানের কাস্টডি চেয়ে। স্বামী মির্জা মুবিন ইলাহি বেধড়ক মারধর করেন। ফরজ়ানার অভিযোগের ভিত্তিতে মির্জার নামে কেসও করেছে লাহোরের পুলিশ। উপায় থাকলেও পাকিস্তান ছেড়ে পালানোর কথা ভাবছেন না ফরজ়ানা।তাঁর দাবি, অবিলম্বে দুই নাবালক সন্তানের কাস্টডি দেওয়া হোক তাঁকে। অন্যথায় ওই বাচ্চা দু’টোকে বেঘোরে মরতে হবে। ফরজ়ানা-মির্জার বিয়েটা কিন্তু প্রেমের। একেবারেই নিজেদের পছন্দমতো। ২০১৫-য় কর্মসূত্রে দুবাইয়ে থাকা মুম্বইয়ের তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক হয় পাকিস্তানি তরুণের। ওই বছরই বিয়ে করেন দু’জনে। ২০১৮-য় তাঁরা পাকাপাকি ভাবে চলে যান লাহোরে।
কিন্তু একদা প্রেমিক-স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই এখন ফরজ়ানা বলছেন, ‘ও বলছে, আমাদের নাকি ডিভোর্স হয়ে গেছে। তা হলে কাগজ দেখাচ্ছে না কেন? সম্পত্তি সংক্রান্ত ঝামেলায় আমাদের ফাঁসিয়ে ব্যাপক অত্যাচার করছে মির্জা। পাসপোর্ট ইত্যাদি ছিনিয়ে নিয়ে আমাকে এবং বাচ্চাদের রহমান গার্ডেনের বাড়িতে আটক রেখেছে।’
এই মুহূর্তে পাকিস্তান সরকারের কাছে মু্ম্বইয়ের তরুণীর আর্জি, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের ফয়সালা না-হওয়া পর্যন্ত সরকার যেন তাঁকে এবং তাঁর বাচ্চাদের যথাযোগ্য নিরাপত্তা দেয়। দুবাইয়ে সম্পর্ক তৈরির আগেই বিবাহিত ছিল মির্জা। অভিযোগ, প্রথম বিয়ে লুকিয়েই ফরজ়ানাকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে দুবাইয়ে বিয়ে করেন তিনি।
লাহোরে ফেরার পরে পুরো ব্যাপারটা সম্পর্কে জানতে পারেন ফরজ়ানা। ধীরে ধীরে তৈরি হতে থাকে অশান্তি। ভারতীয় তরুণীর দাবি, সম্প্রতি তাঁর দুই সন্তানের নামে লাহোরে বড় একটা প্রপার্টি কেনেন মির্জা। যা নিয়ে প্রবল অশান্তি শুরু করেন মির্জার প্রথম স্ত্রী। পাকিস্তান থেকে তাঁকে জোর করে তাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ফরজ়ানার।
তাঁর কথায়, ‘মির্জা মাঝখানে রটাতে শুরু করেছিল, আমি নাকি বেআইনি ভাবে পাকিস্তােন থাকছি। কয়েক জন উর্দিধারী আমাকে জোর করে ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঠানোরও চেষ্টা করে। আমি তীব্র প্রতিবাদ করে গোটা ব্যাপারটা উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে জানাই।’ লাহোর পুলিশ মির্জার নির্যাতনের মামলা দায়ের করার কিছুটা স্বস্তিতে তরুণী।