• দেভোগ দেশবন্ধু স্মৃতি সঙ্ঘের বাসন্তী পুজো ঘিরে উন্মাদনা
    বর্তমান | ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • শ্যামল সেন, হলদিয়া: বন্দর শহরে সিটিসেন্টার লাগোয়া দেভোগ দেশবন্ধু স্মৃতি সঙ্ঘের বিগ বাজেটের বাসন্তী পুজো ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। হলদিয়ার দেভোগে গোঁসাইচকের দেশবন্ধু স্মৃতি সঙ্ঘের পুজোয় প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয়। এবছর ২২ তম বর্ষে থিমের মণ্ডপ, প্রতিমা ও রংবাহারি আলোকসজ্জায় সেজে উঠেছে পুরো এলাকা। পুজোর মূল আকর্ষণ নবমীর মহাভোগ। বাসন্তী পুজোকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর বার্ষিক মিলনোৎসব হয়। এবছর বাংলা নববর্ষ থেকে সপ্তাহব্যাপী নানা ধরনের ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, বাউলগান, যাত্রানুষ্ঠান ও বিচিত্রানুষ্ঠান মঞ্চস্থ হচ্ছে। এবছর পুজোর বাজেট ১০ লক্ষ টাকা। 

    জানা গিয়েছে, যামিনী রায়ের শিল্প ও চিত্রকলায় সেজেছে পুজোমণ্ডপ। একচালার সাবেকি ধাঁচের প্রতিমায় রয়েছে চমক। গত শনিবার পঞ্চমীর সন্ধ্যায় পুজোমণ্ডপের উদ্বোধন হয়। উপস্থিত ছিলেন এলাকার জনপ্রতিনিধি সহ বিভিন্ন শিল্পসংস্থার পদস্থ আধিকারিকরা। সপ্তমী ও অষ্টমীতে আতসবাজি, বাউল ও নৃত্যানুষ্ঠান দেখতে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়েছিল। বুধবার দুপুরে প্রায় পনেরো হাজার মানুষকে অন্নভোগ খাওয়ানো হয়েছে। এদিন নিজে হাতে ভোগ বিতরণ করেন সতীশ সামন্ত মেমোরিয়াল চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সভাপতি মিলন মণ্ডল, হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ আজিজুল রহমান সহ অন্যান্যরা। পুজো কমিটির সম্পাদক ত্রিদেব দাস বলেন, পুজোর পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কর্মকাণ্ডের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্ৰীষ্মকালীন রক্ত সঙ্কট মেটাতে রক্তদান শিবির, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের বিজয়া দশমীতে সংবর্ধনা জানানো হচ্ছে। বুধবার মহানবমীতে হলদিয়া সিটিসেন্টার সংলগ্ন এলাকায় ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে এই ক্লাবে অন্নভোগ গ্রহণ করেন আশেপাশের বিভিন্ন ওয়ার্ডের মানুষ সহ কারখানার শ্রমিকরা। তীব্র গরমের মধ্যেও ভোগ পরিবেশনে পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদের উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়। এদিন মহানবমীর ভোগপ্রসাদে আলুভাজা, ভাত, ডাল, ছেঁচকি, কুমড়োর ঘণ্ট, মাছের ঝাল ও চাটনি সবাই পাত পেড়ে খেয়েছেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)