• হাওড়ায় মিছিলে প্রসূন, অস্ত্রের ঝলকানি রথীনের শোভাযাত্রায়
    বর্তমান | ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: রামনবমীর দিনে হাওড়ায় পৃথক শোভাযাত্রা করল বিজেপি এবং তৃণমূল। লিলুয়ায় রাজ্যের শাসকদলের আয়োজিত মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তীও এদিন রামনবমীর মিছিলে হাঁটেন। তবে তাঁর মিছিলে দেখা গিয়েছে অস্ত্রের ঝলকানি। একাধিক খোলা তলোয়ার হাতেই হাঁটেন বিজেপির নেতারা। 

    রামনবমীতে তৃণমূল যে পিছিয়ে থাকবে না, তা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। বুধবার লিলুয়া অঞ্চলে তৃণমূল রামনবমীর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে। নেতৃত্বে ছিলেন যুব সভাপতি কৈলাস মিশ্র এবং বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নিতে এসেছিলেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ এবং হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দু’জনকেই মাথায় পাগড়ি পরে জনসংযোগ করতে দেখা যায়। মিছিল প্রসঙ্গে কৈলাস মিশ্র বলেন, আমরা সাত বছর ধরে এই শোভাযাত্রা করছি। আমরা রামের নামে ভোট করি না। তাই আমাদের শোভাযাত্রায় ধর্মীয় উস্কানি থাকে না। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রামনবমী মিছিল নিয়ে আমাদের এখানে জেলাশাসক, পুলিস কমিশনার খুব ভাল কাজ করছেন।

    এদিকে, বিজেপির তরফেও রামনবমীর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ছিল হাওড়ায়। বিবেকানন্দ স্কুল থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত সেই শোভাযাত্রায় অংশ নেন হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে পদ্ম শিবিরের প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। তাঁর যোগ দেওয়া মিছিলেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অস্ত্রের ঝলকানি দেখা যায়। তলোয়ার হাতে শোভাযাত্রায় হাঁটেন বিজেপির নেতারা। শুধু তাই নয়, অস্ত্র হাতে রামের নামে ধ্বনি দেন খোদ বিজেপি প্রার্থীও। রথীনবাবু বলেন, আমরা অস্ত্রকে শক্তিরূপে পূজা করি। এটা আমাদের শাস্ত্রের অঙ্গ। যেমন কৃপাণ বাদ দিয়ে শিখ সমাজের পুজো হয় না। অস্ত্র আমাদের সংস্কৃতির অঙ্গ।

    অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশের পর হাওড়ায় এদিন জোড়া রামনবমীর মিছিল ছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং অঞ্জনী পুত্রসেনার। কাজিপাড়া মোড় থেকে জিটি রোড দিয়ে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত দু’পক্ষই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে আলাদা করে। দুই মিছিলেই হাজারখানেক করে লোক হয়। প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে সব মিছিলই নিয়ন্ত্রণ করেছে। একটি জায়গায় ডিজে বক্স নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন পুলিসকর্মীদের সঙ্গে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের সামান্য বাদানুবাদ হয়। তবে দ্রুত তা মিটেও যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রায় ৭০০ পুলিস, কেন্দ্রীয় বাহিনী, র‌্যাফ এবং নজরদারির জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হয়। সব মিলিয়ে দায়িত্বে ছিলেন পাঁচজন ডিসি পদমর্যাদার এবং প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক এসি পদমর্যাদার অফিসার। সলপেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে রামনবমী উদযাপন করা হয়। 
  • Link to this news (বর্তমান)