• ইউপিএসসি পরীক্ষায় নজরকাড়া সাফল্য, অশোকনগরের ব্রততী কৃতজ্ঞ রাজ্য সরকারের কোচিং পেয়ে
    বর্তমান | ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত : সাধারণ পরিবারের মেয়ে। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি অদম্য জেদ। দ্বিতীয়বারের জন্য ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন। সাফল্যও পেলেন অশোকনগর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রততী দত্ত। সর্বভারতীয় পরীক্ষায় তাঁর র‍্যাঙ্ক ৩৪৬। তাঁর পরিবারের সদস্য থেকে প্রতিবেশীরা তাঁর সাফল্যে খুশি। বাবা গৌরহরি দত্ত ও মা অপর্ণা রাহা দত্ত কার্যত বাকরুদ্ধ।

    প্রতি বছরের মতো এবারও মেধার জোরে শিরোনামে উঠে এসেছেন বাংলার একাধিক পরীক্ষার্থী। বাংলার সফলতম পরীক্ষার্থী অশোকনগরের ব্রততীদেবী। ২০২৩ সালে এই সর্বভারতীয় পরীক্ষায় বসেছিলেন দ্বিতীয়বার। প্রথমবার স্নাতকোত্তরের ক্লাস চলাকালীন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তবে সাফল্য আসেনি। দ্বিতীয়বার আশাতীত রেজাল্ট হল। তাঁর ছেলেবেলা কেটেছে অশোকনগরে। বাবা এক চিকিৎসকের সহায়ক হিসেবে কাজ করেন। মা কৃষিদপ্তরের কর্মী। হাবড়ার বাণীপুর জওহর নবোদয় আবাসিক স্কুলে পড়তেন। ছোট থেকেই মেধাবী। দ্বাদশ শ্রেণির পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি বিষয়ক পড়াশোনার জন্য স্নাতকস্তরে ভর্তি হন। পাশ করার পর ওড়িশায় সিড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি নিয়ে স্নাতকোত্তর করেন। স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। 

    ব্রততীর একমাত্র লক্ষ্য ছিল প্রশাসনিক পদে যাওয়ার। তখনই ইউপিএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। মঙ্গলবার ফলপ্রকাশ হয়েছে। তাঁর লক্ষ্য আইএএস হওয়া। তিনি বলেন, ‘আমার বড় কোচিং ছিল না। পড়াশোনার পাশাপাশি সরকারের ফুড সেফটি অফিসার হিসেবে চাকরি করেছি। আমার পাশ করার জন্য রাজ্য সরকারের সত্যেন্দ্রনাথ টেগোর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টারের ভূমিকা রয়েছে।’ প্রবীর মজুমদার নামে এক প্রতিবেশী বলেন, ‘আমাদের অশোকনগরের গর্ব ব্রততী। ওর মেধা ও জেদের তারিফ করার ভাষা নেই।’
  • Link to this news (বর্তমান)