• Farzana Begum: সন্তানদের ছাড়া ভারতে ফিরতে নারাজ ফারজানা, আলোচনার কেন্দ্রে এক মায়ের লড়াই
    এই সময় | ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • ফারজানা বেগম। নিজের দুই ছেলের হেফাজতের জন্য এবং ছেলেদের নামে কিছু সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তার স্বামীকে নির্যাতন করেছিলেন। তারপরই জনসমক্ষে আসেন ফারজানা বেগম। চর্চায় আসে ফারজানা বেগমের মামলাটি।ফারজানা বেগম, মুম্বইয়ের একজন ভারতীয় নাগরিক। বর্তমানে পাকিস্তানে নিজের সন্তানদের হেফজতের জন্য লড়াই করছেন। তার সন্তানদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে বলে তার জন্মভূমিতে ফিরে যেতে অস্বীকার করেছেন।

    ফারজানা বেগম ২০১৫ সালে অবুধাবিতে মির্জা মুবিন এলাহী নামে একজন পাকিস্তানি নাগরিককে বিয়ে করেন। পরে ওই দম্পতি ২০১৮ সালে পাকিস্তানে আসেন এবং তাদের সাত এবং ছয় বছর বয়সী দুটি ছেলে আছে। ফারজানার মামলা জনসমক্ষে আলোচিত হয় যখন তিনি তার ছেলেদের হেফাজত এবং তার ছেলেদের নামে কিছু সম্পতি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তার স্বামীকে নির্যাতন করেছিলেন।

    ফারজানা তার স্বামীর দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন যে তিনি তাক তালাক দিয়েছেন এবং বলেছেন, ‘সে যদি আমাকে তালাকদিয়ে থাকে তবে অবশ্যই একটি সার্টিফিকেট থাকতে হবে।’

    তিনি বলেন, ‘সম্পত্তির বিবাদে আমি এবং আমার সন্তানদের জীবন পাকিস্তানে বিপন্ন। আমি লাহোরের রেহমান গার্ডেনে আমার বাড়িতে বন্দি এবং আমার সন্তানরা ক্ষুধা সহ্য করছে।’

    ফারজান তার ছেলেদের ছাড়া তার জন্মভূমিতে যেতে অস্বীকার করে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি জানিয়েছেন, লাহোরে কিছু সম্পত্তি আচে যেগুলো আমার ছেলেদের নামে আছে। আমার এবং আমার সন্তানদের পাসপোর্ট আমার স্বামীর দখলে আছে।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ফারজানা মুবিন এলাহীর দ্বিতীয় স্ত্রী। এলাহির ইতিমধ্যেই একজন পাকিস্তানি স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছে। ফারজানার অভিযোগ, এলাহির প্রতম স্ত্রী এবং সন্তানরা ফারজানাকে ভারতে ফিরতে বাধ্য করেছে এবং তারছেলেদেরনামে থাকা সম্পত্তি কেড়ে নিয়েছে। এমনকি ফারজানাকে ভয় দেখানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

    ফারজানার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহসিন আব্বাস বলেন, ‘মুবিন এলাহি মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছেন যে ফারজানা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। যদিও তার পাসপোর্ট তার কাছে ছিল।’

    মামলাটি বর্তমানে টক অফ দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। কারণ ফারজানা তার ভিসার অবস্থা সম্পর্কে অষ্পস্ট এবং অবিচল যে তিনি তর ছেলেদের ছাড়া যাবেন না। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেদের ছাড়া আমি কখনোই ভারতে ফিরতাম না।’
  • Link to this news (এই সময়)