• Lok Sabha Elecion 2024: ৪ ভোটারের জন্য ৬ জন ভোটকর্মী! কোথায় রয়েছে এই ভোট গ্রহণ কেন্দ্র?
    এই সময় | ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • ১১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে ১৮ তম সাধারণ নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শুরু হচ্ছে। প্রথম দফায় ভোট রয়েছে উত্তরাখণ্ডের পাঁচটি নির্বাচনী কেন্দ্রে।নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, উত্তরাখণ্ডে ৮৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯১৪ জন নিবন্ধিত ভোটার রয়েছেন। ১১ হাজার ৭২৯ কেন্দ্রে তাঁরা ভোট দেবেন। ভোটারদের মধ্যে ৪৩,১৭,৫৭৯ জন পুরুষ ৪০,২০,০৩৮ জন মহিলা এবং ২৯৭ জন তৃতীয় লিঙ্গ। এছাড়াও এরাজ্যে অতিরিক্ত ৯৩ হাজার ১৮৭ সার্ভিস ভোটার রয়েছেন যাঁদের মধ্য়ে ৯০ হাজার ৫৫৪ জন পুরুষ ও ২ হাজার ৬৩৩ জন মহিলা। নির্বাচনী আইনে বলা আছে, প্রত্যেক বৈধ ভারতীয়কে ভোটদানের সুযোগ দিতে নির্বাচন কমিশন দায়বদ্ধ। উত্তরাখণ্ডের একটি একটি ভোটকেন্দ্র রয়েছে যেখানে মাত্র চারজন নিবন্ধিত ভোটার রয়েছেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কঠোর নির্বাচনী নির্দেশিকা এবং বিধিবিধান মেনে, এই চার নাগরিকের জন্য নির্বিঘ্ন ভোটদান প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে এই ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা কর্মী সহ মোট ছয়জনের ভোটগ্রহণ কর্মীদের একটি বিশেষ দল নিযুক্ত করবে। অন্যদিকে, কোটদ্বারের ধিকালায় ১০ জন নিবন্ধিত ভোটার রয়েছেন। তেহরির পাথোই গ্রামে ৪৮ জন ও যমুনোত্রী পূজারা গ্রামে সর্বসাকুল্যে ৬০ জন ভোটার রয়েছএন।

    উত্তরাখণ্ডের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা, বিভিআরসি পুরুষোত্তমের কথায়, 'মঙ্গলবার, নির্ধারিত ভোটের দিন থেকে তিন দিন আগে, বারোটি পোলিং টিমকে ভোট কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল৷ এর মধ্যে উত্তরকাশীতে ১১টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। একটি ভোটকেন্দ্র রয়েছে পিথোরগড় জেলায়।

    উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দুমাকে সরকারি স্কুলের একটি ভোটকেন্দ্রে পৌঁছনো সবথেকে মুশকিল। এই ভোটকেন্দ্রে পৌঁছতে হলে গোপেশ্বর থেকে ৫৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তারপর দুর্গম রাস্তা দিয়ে ২০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পৌঁছতে হয়। অন্যদিকে দুর্গম পথকে মাথায় রেখে জেলা সদর থেকে ২৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চাকরাতা বিধানসভা কেন্দ্রের ডানগুথা সরকারি প্রাইমারি স্কুলে ভোট কেন্দ্র রূপান্তিরত হয়েছে। উত্তরকাশীর ওসলা বুথটি জেলা সদর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই বুথে পৌঁছতে ১৪ কিলোমিটার হেঁটেই পাড়ি দিতে হবে।

    সকলেরই জানা ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থা ত্রুটিমুক্ত নয়। বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট, ভুয়ো ভোটার, নির্বাচনকে ঘিরে মারধর, টাকার খেলা, এই সব প্রতিবারের অভিযোগ। সেই সব অবাঞ্ছিত ঘটনার মাঝে দুর্গম এলাকায় মানুষের ভোটদানের বাসনা পূরণে নির্বাচন কমিশন এবং সরকারি কর্মচারীদের দায়বদ্ধতা নিজেদের দায়বদ্ধ হতে শেখায় বৈকি।
  • Link to this news (এই সময়)