ভোটের মুখে ফের উত্তপ্ত ব্যারাকপুর। রাত দুপুরে শুট আউট। গুলিবিদ্ধ এক তৃণমূল কর্মী। আহত তৃণমূল কর্মীর নাম পিন্টু চৌহান। ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। যদিও এই গুলি চালনার ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে বিজেপির তরফে।রামনবমীর রাতেই গুলি চলল ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে। ঘটনাস্থল সেই ভাটপাড়া। ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩ নম্বর গলি ধর্মশালা এলাকায় চলল বুধবার রাতে গুলি। গুলিতে গুরুতর জখম এক তৃণমূল কর্মী। পিন্টু চৌহান নামে তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন বলে জানা যায়। স্থানীয় হাসপাতালে প্রথম নিয়ে যাওয়া হয় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীকে। পরবর্তীতে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বি এন বসু হাসপাতালে।
স্থানীয় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনোজ কুমার পান্ডের দাবি, এই গুলি চালানোর ঘটনায় অর্জুন সিং জড়িত। ২০১৯-এও একই ঘটনা ঘটেছে। যে গুলি চালিয়েছে সে বিজেপি করে জেরায় শিকার করেছে, জানান স্থানীয় কাউন্সিলর। রাজনৈতিক শত্রুতার কারণে এই গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
অন্যদিকে, অর্জুন সিং জানান যে গুলি চালিয়েছে অর্থাৎ প্রকাশ সে একজন অপরাধী। এর আগে তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আছে। প্রকাশ রাজ পান্ডের শুটার। রাজ পান্ডে হল মনোজ পান্ডের ভাগ্নে।রাজ পান্ডে পুলিশ দিয়ে এই প্রকাশ কে গ্রেপ্তারও করিয়েছিলো। পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। এরপরেও প্রকাশের বিরুদ্ধে একাধিক দুষ্কৃতীমূলক কাজের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে, আহত তৃণমূল কর্মী পিন্টুর বাড়ি ভাটপাড়া পুরসভার 17 নম্বর ওয়ার্ডের 13 নম্বর গলিতে। অন্যদিকে, এই গুলি চালনার ঘটনায় জড়িত প্রকাশের বাড়িও ওই এলাকাতেই। দু'জনেই একে অপরের পরিচিত বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। স্থানীয়দের দাবি, রাতে মদ খাওয়া নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে প্রথমে বচসা হয়। বচসার পরেই দু’জনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এর মাঝেই সেভেন এমএম পিস্তল বের করে দিকে তাক করে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। গুলির আওয়াজে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী । এরপর দেখা যায় মতিভবন স্কুলের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন স্থানীয় ওই যুবক।
ঘটনার পর রাজ্যের মন্ত্রী তথা ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক হাসপাতালে যান। হাসপাতালে আসেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামও। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পার্থ ভৌমিক বলেন, প্রথমে ওই যুবককে সুস্থ করাই আমাদের উদ্দেশ্য । তবে, এটুকু বলব ব্যারাকপুরে গুন্ডাগিরি শেষ করতেই এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।