• আত্মপ্রচারের সুরে ত্রিপুরায় স্বপ্ন ফেরি করলেন মোদি
    বর্তমান | ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • বিশেষ সংবাদদাতা, আগরতলা: অতীতে কংগ্রেস জমানায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা নাকি জানতেনই না ভারতের মানচিত্রের ঠিক কোনখানে ত্রিপুরা! সেই সময় গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে ‘অন্যায়’ হয়েছে। আর তাঁর আমলেই প্রকৃত উন্নয়নের স্বাদ পেয়েছে ত্রিপুরা সহ গোটা উত্তর-পূর্ব। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এরাজ্যে পাঁচ লক্ষ পরিবার ‘জল জীবন মিশন’-এ পানীয় জলের সংযোগ পেয়েছে। ৩ লক্ষ গরিব মহিলা পেয়েছেন গ্যাস সংযোগ। কিষান নিধি সম্মান পেয়েছেন প্রায় আড়াই লক্ষ চাষি। আত্মপ্রচারের সুরেই বুধবার আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে স্বপ্ন ফেরি করলেন নরেন্দ্র মোদি।

    এদিন ছিল প্রথম পর্বে ভোটের শেষ দিনের প্রচার। দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ এমবিবি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মোদি। তারপর বিবেকানন্দ ময়দান পর্যন্ত রোড শো করেন। ভাষণ দিতে উঠেই বাংলা ও ককবরক ভাষায় উপস্থিত জনতাকে সম্বোধন করেন তিনি। প্রণাম জানান মাতা ত্রিপুরাসুন্দরীকে। তারপরই শোনা যায় প্রতিশ্রুতির বন্যা। বলেন, আগামী পাঁচ বছরে দেশের তিন কোটি মানুষ পাবেন মাথার উপর ছাদ। উপকৃত হবেন ত্রিপুরার মানুষও। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে সত্তরোর্ধ্ব ব্যক্তিরা পাবেন চিকিৎসার সুযোগ।

    এবারের ভোটে বিজেপির যে গলার কাঁটা বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’, তা আরও একবার স্পষ্ট হল মোদির আক্রমণে। ত্রিপুরায় কংগ্রেস ও বামেদের জোটকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, কংগ্রেস আর সিপিএম আগে আলাদা ছিল। দুর্নীতি করে দুই দলই ফুলে ফেঁপে উঠেছে। এখন লুটের মাল বাঁচাতে হাত ধরাধরি করছে। কেরলে ওদের কুস্তি চলছে। আর এখানে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করেছে। ওরা ‘লুঠ ইস্ট’ পলিসিতে বিশ্বাসী। রাজ্যের দুই কেন্দ্রের প্রার্থী বিপ্লব দেব ও কৃতী সিং দেববর্মা ছাড়াও এদিন মোদির সভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, জোট শরিক তিপ্রা মথা নেতা প্রদ্যোতকিশোর দেববর্মা।
  • Link to this news (বর্তমান)