আজ থেকে টানা ২০ দিন বাতিল ২৩টি লোকাল, শিয়ালদহে চরম দুর্ভোগ যাত্রীদের
বর্তমান | ১৮ এপ্রিল ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আজ বৃহস্পতিবার থেকে টানা ২০ দিন শিয়ালদহ ডিভিশনে ২৩টি লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে। দমদম জংশন স্টেশনে রেল ট্র্যাকের জরুরি মেরামতি কাজের জন্য যাত্রীদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হবে। শিয়ালদহ মেইন, সাউথ ও বনগাঁ শাখার একাধিক ট্রেন পরিষেবা এর জেরে বিঘ্নিত হবে। বুধবার দমদম স্টেশন পরিদর্শনে যান শিয়ালদহের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) দীপক নিগম। দমদম স্টেশন থেকে একাধিক শাখার ট্রেন চলাচল করে। মূলত ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের রেল ট্র্যাকের আধুনিকীকরণের কাজ হবে এই পর্বে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই কাজ সারতে ওই লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হবে। এদিন ডিআরএম ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম সহ দমদম জংশনের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। ১৮ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত এই ট্রেন বাতিলের প্রক্রিয়া চলবে। তার জন্য প্রযোজনীয় বিকল্প ব্যবস্থার তদারকি সারেন ডিআরএম।
উল্লেখ্য, শিয়ালদহ দেশের অন্যতম ব্যস্ত ডিভিশন। প্রতিদিন কয়েক লক্ষ যাত্রী পার্শ্ববর্তী জেলা ও শহরতলি থেকে কলকাতায় আসা-যাওয়ার জন্য লোকাল ট্রেন পরিষেবা ব্যবহার করেন। দিন দিন যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিষেবা দিতে শিয়ালদহ ডিভিশন একাধিক পরিকাঠামোগত উন্নয়নে হাত দিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম শিয়ালদহ মেইন ও বনগাঁ শাখায় ১২ কোচের ট্রেন চালানো। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর কাজ পুরোদমে চলছে। পাশাপাশি বাড়তি যাত্রীদের চাপ সামলাতে নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমান ডিআরএম বিল্ডিং ভেঙে সেখানে রেল ট্র্যাক পেতে নয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ডিভিশনের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, চরম ব্যস্ত শাখায় পরিকাঠামোগত কাজ করতে হলে ট্রেন পরিষেবায় ছেদ পড়বেই। এই বিশাল পরিমাণ যাত্রীদের কাছে মাঝেমাঝেই ট্রেন বাতিলের খবর রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি করে। আমরা তাই পর্যায়ক্রমে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই কাজ করছি। উল্টোদিকে যাত্রীদের অভিযোগ, শিয়ালদহ-হাওড়া শাখায় প্রতি সপ্তাহে পালা করে ট্রেন বাতিল একপ্রকার নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেলের কর্তারা ঠান্ডা ঘরে বসে কম্পিউটারে কেবল দিনক্ষণ বদলে একই বয়ান কপি-কাট-পেস্ট করে ট্রেন বাতিলের বিজ্ঞপ্তি দিয়েই ক্ষান্ত হন। কিন্তু এই তীব্র গরমে ধারাবাহিক ট্রেন বাতিলের যন্ত্রণা এসি গাড়িতে চড়া সাহেবরা অনুভব করতে পারেন না। রেলের ব্যর্থতার ভোগান্তি পোহাতে হয় নিত্যযাত্রীদেরই।