বিগত কয়েক বছরে বারংবার ভাটপাড়া এলাকায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে। বোমা, গুলি চলেছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটেছে। ব্যারাকপুরের সাংসদ তথা ভাটপাড়ার দাপুটে নেতা অর্জুন সিং বিজেপির টিকিটে ২০১৯ সালে জিতে তৃণমূলে গিয়ে ফের বিজেপিতে ফিরেছেন ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে। আর এসবের মাঝে ফের উত্তেজনা ছড়াল এই এলাকায়। জানা গিয়েছে, গতরাতের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন এক তৃণমূল সমর্থক। ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপি কর্মীর দিকে। যদিও ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং দাবি করেন, অভিযুক্ত বিজেপির কর্মী নন। (রিপোর্ট অনুযায়ী, ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ ওয়ার্ডে প্রকাশ্যে এক তৃণমূল সমর্থককে গুলি করার ঘটনাটি ঘটে। এই গুলি চালানোর ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ভাটপাড়ার ১৩ নম্বর গলির ধর্মশালা এলাকায়। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল সমর্থকের নাম পিন্টু চৌহান। তিনি পেশায় জুট মিলের কর্মচারী বলে জানা গিয়েছে। প্রকাশ চৌধুরী নামে এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে এই গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় থানা এবং ব্যারাকপুর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশ কথাবার্তাও বলেন। তবে এই হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাকি, ব্যক্তিগত আক্রোষের জেরে এটা ঘটানো হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও রাজনৈতিক দলগুলি এই নিয়ে তরজা শুরু করে দিয়েছে। (সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার রাতে ১৩ নম্বর গলির ৪ নম্বর বাজার এলাকায় কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেই সময় অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী প্রকাশ চৌধুরী ওই তৃণমূল সমর্থকদের কাছে যান এবং সেখানে বসে থাকা পিন্টু চৌহানকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি চালান। গুলিটি আক্রান্তের গলা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। পিন্টুকে উদ্ধার করে ব্যারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন আহত তৃণমূল সমর্থক। এই ঘটনা জানাজানি হতেই বিএন বসু হাসপাতালে উপস্থিত হন ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক, তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্বরা। পার্থ ভৌমিক এই ঘটনাকে 'দুঃখজনক' আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ব্যারাকপুর অঞ্চলে মানুষকে গুন্ডামি করে ভয় দেখানো হচ্ছে। এটা আমরা শেষ করব।' ওদিকে এই ঘটনায় বিজেপি যোগের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে অর্জুন সিং বলেন, 'অভিযুক্ত প্রকাশ চৌধুরী বিজেপি কর্মী নয়।' উলটে তাঁর অভিযোগ, পুলিশই নাকি ভাটপাড়াকে উত্তপ্ত করাচ্ছে।