• কিপিং এবং নেতৃত্বের জন্য ম্যাচের সেরা, নজির গড়ে বোলারদের বাহবা পন্তের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • বুধবার লো-স্কোরিং আইপিএলের ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সকে ছয় উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। দিল্লির এই জয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল দলের অধিনায়ক ঋষভ পন্তের। এদিনের ম্যাচে দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব করেছেন পন্ত। উইকেটের পিছনে তিনি দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। দু'টি স্টাম্পিং করেছেন এবং দু'টি ক্যাচ নিয়েছেন। বোলারদেরও খুব ভালো ব্যবহার করেছেন তিনি। পাশাপাশি ব্যাট হাতে ১১ বলে অপরাজিত ১৬ রান করেছেন। যার ফলে তিনি ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন।

    এটি নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ একটি ঘটনা। শুধুমাত্র উইকেটকিপিং এবং নেতৃত্বের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হওয়া আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম বার। ঋষভ পন্তকে তাঁর উইকেটকিপিং এবং অধিনাকত্বের জন্যই ম্যাচের সেরা নির্বাচিত করা হয়। আইপিএলের ইতিহাসে এটি অপ্রত্যাশিতই একটা ঘটনা। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের পর পন্ত ফের ম্যাচের সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হলেন।

    ম্যাচ জেতার পর খুব স্বাভাবিক ভাবেই দিল্লির অধিনায়ক বেশ উচ্ছ্বসিতই ছিলেন। এবং তিনি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, এই জয়ের ধারা ধরে রেখেই তাঁর দল ঘুরে দাঁড়াবে। আসলে, দিল্লি ক্যাপিটালস যদি এই ম্যাচে হেরে যেত, তাহলে এখান থেকে প্লে-অফের লড়াইয়ে ফিরে আসাটা তাদের জন্য খুব কঠিন হয়ে যেত। বুধবারের ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সকে ছয় উইকেটে পরাজিত করার পর ঋষভ পন্ত বলেছেন যে, তাঁরা এখনও টুর্নামেন্টে এগিয়ে যেতে পারেন। পরের রাউন্ডের লড়াইয়েও থাকতে পারেন।

    ম্যাচের পর পন্ত বলেছেন, ‘সন্তুষ্ট হওয়ার মতো অনেক কিছুই আছে। আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো মানসিকতা রাখার কথা বলেছি এবং আমাদের দল এটি মাথায় রাখছে। নিঃসন্দেহে আমাদের বোলিং এদিন সেরা ছিল। এটা সবে টুর্নামেন্টের শুরু। এবং আমরা এখনও এখান থেকে উন্নতি করতে পারি।’

    তাঁর পারফরম্যান্স সম্পর্কে পন্ত বলেছেন যে, ‘মাঠে নামার আগে একমাত্র চিন্তা থাকে, প্রতিদিন আরও ভালো ভাবে প্রত্যাবর্তন করা। আরও ভালো পারফরম্যান্স করা। এই ভাবনাটা আমার রিহ্যাবের সময় থেকেই ছিল।’

    ৯০ রান তাড়া করে জয় পাওয়া নিয়ে পন্ত বলেছেন, ‘আমরা ঠিক করেছিলাম, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই রান তাড়া করে জিততে হবে। আমরা যেসব ম্যাচে হেরেছি, সেই ম্যাচে নেট রানরেটে ধাক্কা খেয়েছে। সেটা বাড়ানোর চেষ্টাই করেছি।’

    এদিন নিজেদের ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করার সুবিধে কাজেই লাগাতে পারেননি শুভমন গিলরা। শুরু থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায় গুজরাট। ২০২৪ আইপিএলে এটিই সর্বনিম্ন স্কোর। গুজরাট টাইটান্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান (২৪ বলে) করেন রশিদ খান। ১২ করেন সাই সুদর্শন। ১০ করেন রাহুল তেওয়াটিয়া। বাকিরা এক অঙ্কের ঘরেই গড়াগড়ি খেয়েছেন।

    তবে জয়ের জন্য ৯০ রান তুলতে নেমে শুরুতে বিপাকে পড়েছিল দিল্লিও। মাত্র ৯০ করতে গিয়ে ৪ উইকেট তারা হারিয়ে বসে। শেষ পর্যন্ত ৮.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন ঋষভ পন্তরা। জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক সর্বোচ্চ ২০ রান (১০ বলে) করেছেন। এছাড়া ১৫ করেছেন অভিশষেক পোড়েল। ১৯ করেছেন শাই হোপ। অপরাজিত ১৬ করেন ঋষভ পন্ত। ৯ করে পন্তের সঙ্গে অপরাজিত থাকেন সুমিত কুমার।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)