রাত জেগে কাজ, শিয়ালদা লাইনে সমস্ত ১২ বগির লোকাল শুধু সময়ের অপেক্ষা
এই সময় | ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিয়ালদা মেন ও নর্থ সেকশনে সমস্ত EMU লোকালগুলিকে ১২ কোচের করার জন্য শিয়ালদা স্টেশনের ১ থেকে ৫ নম্বর প্লাটফর্মের দৈর্ঘবৃদ্ধির কাজ জোরকদমে এগিয়ে চলেছে। শিয়ালদহ স্টেশনের ইয়ার্ডে বিভিন্ন জটিলতা সত্ত্বেও সমস্ত চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে, ২৪x৭ অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে ডেডিকেটেড প্রজেক্ট টিম, যাতে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা যায়। এই বিষয়ে রেলের তরফে দেওয়া একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, নতুন ট্র্যাক, বৈদ্যুতিক লাইন ইত্যাদি সহ এমন একটি বিশাল প্রকল্প সম্পন্ন করার জন্য পরিকল্পনা এবং সুস্পষ্ট সমন্বয় বিশেষভাবে প্রয়োজন। নতুন এই লে আউটে ইলেকট্রিক ট্রাকশনের বন্দোবস্ত এবং সিগন্যালিং মডিফিকেশনের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ধৈর্যসাপেক্ষ বিষয়। সেক্ষেত্রে ট্রেন চলাচল চালু রেখে এই সমস্ত কাজ করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। তবে রেলকর্মীরা সেই সমস্ত বাধা অতিক্রম করেই এগিয়ে চলেছেন।গ্রীষ্মের ভয়ঙ্কর দাবদাহে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন রেল কর্মীরা। বর্তমানে ওভারহেডের বৈদ্যুতিক তার এবং সিগন্যালিং সরঞ্জামগুলির জন্য নতুন খুঁটি স্থাপন করা হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং নতুন পরিকাঠামোর নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে এই কাজটি নিখুঁতভাবে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দিনের বেলায় যাত্রীদের চলাচলে যাতে কোনওরকম ব্যাঘাত না ঘটে এবং ধুলো দূষণ কমাতে রাতে চালান হচ্ছে নির্মাণ কাজ।
এছাড়াও যাত্রীদের স্বার্থে ও দিনের বেলায় তাঁদের চলাচলের সুবিধার্থে প্ল্যাটফর্ম নম্বর ১, ২, ৩ এবং ৪-এর কাছে অতিরিক্ত অস্থায়ী এক্সেস রুটও খোলা হয়েছে। প্রতি রাতেই পরিষেবা শেষ হওযার পর কোমর বেঁধে কাজে নেমে পড়ছেন পূর্বরেলের কর্মীরা। কারণ দিনের ব্যস্ত সময়ে যাত্রীরা যাতে কোনওরকম সমস্যার মধ্যে না পড়েন, তার জন্য ভোরে প্রথম ট্রেন চলাচল শুরুর আগেই শেষ করতে হচ্ছে কাজ।
রেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিভাগের কর্মীরাই নিজ নিজ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর, যাতে খুব তাড়াতাড়িই শিয়ালদা মেন এবং নর্থ সেকশনের সমস্ত লোকাল ট্রেনই ১২ বগির করে তোলা যায়। প্রসঙ্গত, মনে রাখতে হবে, শিয়লদা ডিভিশনে সমস্ত ট্রেন ১২ বগি করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন যাত্রীদের একটা বড় অংশ। এতে দিনের ব্যস্ত সময়ে যাত্রীরা আরও আরামে যাতায়াত করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সমস্ত ট্রেন ১২ বগির হয়ে গেলে যাত্রীদের আরও অনেকটাই সুবিধা হবে বলে আশাবাদী পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।