• Kolkata Bus Accident : ওভারলোডেড বাস ছিঁড়ে দিল ওভারহেড ট্রাম তার!
    এই সময় | ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়: দূরপাল্লার বাসের ছাদে বিরাট উঁচু করে বেআইনি ভাবে মালপত্র বেঁধে নিয়ে যাওয়ার মাশুল গুনলেন সাধারণ মানুষ থেকে বাসযাত্রী। রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে এসএন ব্যানার্জি রোড এবং রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের সংযোগস্থলে। উত্তেজিত জনতা বাসের কাচ ভেঙে দেয়। শেষে পুলিশ এসে বাসের ড্রাইভারকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে। এই ঘটনার জেরে ব্যস্ত সময়ে বেশ কিছু ক্ষণ দুটি রাস্তাতেই গাড়ি চলাচল আটকে যায়। প্রবল গরমে যানজটে হাঁসফাঁস করতে হয় নিত্যযাত্রীদের।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি যাত্রীবোঝাই দূরপাল্লার বাস মৌলালি থেকে ধর্মতলার দিকে বেলাগাম গতিতে যাওয়ার সময়ে লোটাস মোড়ের চার মাথার ক্রসিংয়ে বাসের ছাদে উঁচু করে বেঁধে রাখা মালপত্রে টান পড়ে ছিঁড়ে যায় ট্রামলাইনের ওভারহেড তার। সেই তার ছিটকে লাগে ওয়েলিংটনমুখী পথের ট্র্যাফিক সিগন্যাল পোস্টে। ধাতব তারের ধাক্কার তীব্রতায় সেখানে লাগানো ট্র্যাফিকের সিসি ক্যামেরা লোহার পাত-সহ ভেঙে ঝুলে পড়ে।

    ট্রামের ভারী তার ছিঁড়ে পড়ার অভিঘাতে উল্টে যায় রাস্তায় রাখা বেশ কয়েকটি মোটরবাইক ও স্কুটি। লোটাস মোড় থেকে ওয়েলিংটন ক্রসিং পর্যন্ত ধাতব তার রাস্তায় পড়ে থাকায় ওই পথে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। এ দিকে ট্রামের তার ছিঁড়ে বাসটি ধর্মতলার দিকে সামান্য এগিয়েই দাঁড়িয়ে যায়। ট্রামের তার ছাড়াও অন্য তার জড়িয়ে যায় বাসের গায়ে। এসএন ব্যানার্জি রোডের মতো প্রবল ব্যস্ত রাস্তায় কেন এমন লাগামহীন ভাবে বাসটি চলছিল, সেই প্রশ্ন তুলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। বাসের উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে ফেলেন তাঁরা, হাত পড়ে ড্রাইভারের গায়েও। শেষে পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে।

    এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, এই এলাকায় গাড়ির ভিড় অত্যধিক হওয়া সত্ত্বেও প্রচুর গাড়ি ও বাস স্পিড লিমিট না মেনে চলে। তার সঙ্গেই রয়েছে দূরপাল্লার বাস এবং পণ্যবাহী লরির ওভারলোডিংয়ের সমস্যা। ওভারলোডিং বন্ধ করতে রাজ্য সরকার কড়া পদক্ষেপের কথা আগেই জানিয়েছে। এমনকী, কোথাও কোনও গাড়ি ওভারলোডিংয়ের জন্য ধরা পড়লে মাল নামিয়ে দেওয়া এবং তার জন্য জরিমানা করারও বিধান রয়েছে। তার পরেও পুলিশের নজর এড়িয়ে কী ভাবে এই রাস্তা দিয়ে দিনের পর দিন ওভারলোডেড বাস চলছে, প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী।

    এ দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বেহালার বাসিন্দা সৌম্য চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, ‘শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা আসার গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় অনেক সময়েই পুলিশ দেখা যায় না। বরং বাসের রেষারেষি চলে সব সময়ে।’ জানবাজারের বাসিন্দা বিপুল মাইতির অভিযোগ, ‘একমুখী রাস্তা হলেও অধিকাংশ সময়ে এসএন ব্যানার্জি রোডের দু’দিকেই বাইক চলতে দেখা যায়। ফুটপাথ দিয়েও অনেক সময় বাইক চালান অনেকে। পুলিশ কাউকে আটকাচ্ছে, এমন তো চোখে পড়ে না।’ যদিও কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের এক কর্তার বক্তব্য, ‘এসএন ব্যানার্জি রোডে সব সময়েই পর্যাপ্ত কর্মী থাকেন। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারিও করা হয়।’
  • Link to this news (এই সময়)