মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরের অশান্তির আঁচ এসে পড়ল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বুধবার রাতে মালদা থেকে ফিরে সরাসরি আহতদের দেখতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পৌঁছন অধীর চৌধুরী। সেখানেই অধীর চৌধুরীকে ঘিরে 'গো-ব্যাক' স্লোগান তোলেন বিজেপি সমর্থকরা। কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ধস্তাধস্তি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই সময় অধীর চৌধুরী মেজাজ হারান বলে অভিযোগ। এমনকী এক বিজেপি সমর্থককে ধাক্কা মারার অভিযোগও উঠেছে অধীরের বিরুদ্ধে। ধস্তাধস্তিতে মুখ ফাটে বিজেপির জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের। তাঁকে ঘুষি মারা হয়েছে অভিযোগ তুলেছেন শাখারখ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়।মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরে একটি অশান্তির ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে ভর্তি করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তাদেঁরকেই দেখতে গিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। এই বিষয়ে অধীর বলেন, 'শক্তিপুর থেকে কিছু মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সেখানে একটা উত্তেজনা হয়েছে, কিছু মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমি মালদা থেকে ফেরার পথে রাস্তায় খবর পেলাম, তাঁদের দেখতে এসেছি। আমি আসছি রোগী দেখতে, আর হাসপাতালের মধ্যে অধীর চৌধুরা 'গো ব্যাক', বাঁদরামি করার জায়গা পায় না এরা?বাঁদরামি করার জায়গা কি হাসপাতাল?'
আমি আসছি রোগী দেখতে, আর হাসপাতালের মধ্যে অধীর চৌধুরা 'গো ব্যাক', বাঁদরামি করার জায়গা পায় না এরা?বাঁদরামি করার জায়গা কি হাসপাতাল?অধীর চৌধুরী
যদিও পালটা বিজেপি নেতা শাখারভ সরকার বলেন, অধীর চৌধুরী ভাবছেন, 'আগের মতো দাদাগিরি করব, তিনি বুঝতে পারছেন না, তিনি এখন ২০০০ টাকার নোট, বাজারে অচল। আধীরবাবু যেখানে যাবেন, সেখানেই গলা ধাক্কা খাবেন। জনগণ দেবে, বিজেপির দেওয়ার দরকার নেই।'
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেও প্রচারে বেরিয়ে মেজাজ হারানোর অভিযোগ ওঠে অধীরের বিরুদ্ধে। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীকে নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এবং তারপর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে তাঁর ধস্তাধস্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বহরমপুর শহর। ঘটনার দিন বহরমপুর শহরের নতুন বাজার, গান্ধী কলোনি সংলগ্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন অধীর চৌধুরী। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু কর্মী সমর্থক তাঁকে ঘিরে 'গো ব্যাক' স্লোগান দিতে থাকেন এবং নির্বাচনী প্রচারকার্যে বাধা দেন। আর তাতেই পালটা অধীর মেজাজ হারিয়ে ফেলেন দু-একজন তৃণমূল কর্মীকে তিনি ধাক্কা দেন ও তাঁদের মোবাইল কেড়ে নেন বলে অভিযোগ। তারপরেই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় বহরমপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।