• গোপীবল্লভপুর সর্বজনীনের বাসন্তী পুজোয় মানুষের ঢল
    বর্তমান | ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • রাজদীপ গোস্বামী, গোপীবল্লভপুর: প্রথম বছর বাসন্তী পুজোর আয়োজন করেই বাজিমাত। দেবীর দর্শনে জেলার বিভিন্ন ব্লক ছাড়াও ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড রাজ্য থেকেও মানুষ আসছেন। তীব্র গরম উপেক্ষা করে গোপীবল্লভপুর সর্বজনীন বাসন্তী পুজোয় মানুষের ঢল নেমেছে। এতে বেজায় খুশি উদ্যোক্তারা। গোপীবল্লবপুরের রসিকানন্দ মাঠে মন্দিরের ধাঁচে মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে টিভি, সিরিয়ালের কলা-কুশলীরা অংশ নিচ্ছেন। এই পুজোর উদ্বোধন করেন গোপীবল্লভপুরের মহান্ত মহারাজ কৃষ্ণ কেশবা নন্দ দেবগোস্বামী। পাঁচদিন ধরে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। এবারের পুজোর বাজেট সাত লক্ষ টাকা।বাসন্তী পুজো কমিটির সভাপতি সঞ্জিতকুমার পানি ও সত্যকাম পট্টনায়েক বলেন, আগে এই এলাকায় কোনও বাসন্তী পুজো হতো না। তাই সাধারণ মানুষকে বহু দূরে পুজো দেখতে যেতে হতো। আমাদের পুজো সকলের জন্য। আমাদের স্লোগান ‘উৎসব সবার’। তাই বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসছেন। প্রথম বছর এত ভিড় হবে বলে আমরা ভাবতে পারিনি।

    পুজো কমিটির সদস্য স্বপন সাউ ও তরুণ কুমার জানা বলেন, পুজো হওয়ায় এলাকার মানুষ খুব খুশি। তাঁদের সহযোগিতা ছাড়া এত বড় মাপের পুজো করা সম্ভব হতো না। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকমাস আগে গোপীবল্লভপুরের বেশকিছু যুবক বাসন্তী পুজোর আয়োজন করার পরিকল্পনা করে। এরপর প্রায় ৩০জনের পুজো কমিটি গঠন হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। এরপর শুরু হয় পুজোর প্রস্তুতি। প্রথম বছর পুজো করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল পুজো কমিটি। সেই মতো শুরু হয় পুজোর আয়োজন। 

    তবে শুধু পুজো নয়, বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজেও ক্লাবের সদস্যরা যুক্ত রয়েছেন। করোনা পরিস্থিতির সময় এই কমিটির সদস্যরা সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। যা আজও এলাকার মানুষ মনে রেখেছেন। এছাড়া কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে মানুষের স্বার্থে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে থাকেন। ক্লাবের সম্পাদক হারাধন কুণ্ডু ও কোষাধ্যক্ষ চিন্ময় পাতি বলেন, একতা আমাদের মূল সম্পদ। এই কমিটির সকল সদস্য প্রচুর পরিশ্রম করে পুজোর আয়োজন করেছেন। একইসঙ্গে কারও বিপদে পুজো কমিটির সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়েন। আগামী দিনে বড় আকারে পুজো হবে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)