৩০০০ বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিল সূর্য! কৃষ্ণের সেই সূর্য ঢেকে ফেলার সঙ্গে কি কোনও যোগ আছে'
২৪ ঘন্টা | ১৮ এপ্রিল ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সূর্য নিভে গিয়েছিল! হ্যাঁ, ঠিকে নিভে নয়, হারিয়ে গিয়েছিল। তবে সেটা সাময়িক। ঘটনাটি ঘটেছিল প্রাচীন সিরিয়ায়। সম্প্রতি এই তথ্য সামনে এসেছে। ১৯৪৮ সালে একটি মাটির ট্যাবলেট মাটি থেকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে যা লেখাছিল তার মর্ম উদ্ধার করেই এই তথ্য জানা যাচ্ছে।
উগারিট শহরের ওয়েস্টার্ন প্যালেস আর্কাইভের ধ্বংসস্তূপ থেকে এক মাটির ফলক পাওয়া গিয়েছে। সিরিয়ার উগারিট এক প্রাচীন বন্দর-শহর। ভূমধ্যসাগরের উপকূলস্থিত শহর এটি। উক্ত ফলক থেকেই সূর্যের জ্যোতি কমে যাওয়া এবং সূর্য উধাও হয়ে যাওয়ার কথা জানতে পারা যায়। ঘোরতর দিনের বেলাতেই এই ঘটনা ঘটেছিল। পৃথিবীর যে-অংশে এটা ঘটেছিল সেটা আধুনিক বিশ্বের মানচিত্রে সিরিয়া বলে পরিচিত। খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টিকে সেসময়ে এক অশুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয়েছিল। কেননা, বহু সংস্কৃতিতেই সূর্যের আলোকে ইতিবাচক বিষয় হিসেবে দেখা হয়। সূর্য প্রাণের উৎস। বেঁচে থাকার রসদ জোগায় তার কিরণ। সেটা বন্ধ হওয়া মানে তা মৃত্যু বা ধ্বংসেরই লক্ষণ। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? এখন বিজ্ঞানীরা খুব ভালো ভাবে জেনে গিয়েছেন যে, এটা আসলে এক মহাজাগতিক ঘটনা। যা আবহমান কাল ধরে ঘটে আসছে এবং আগামী দিনেও অসংখ্য জাযগায় অসংখ্যবার ঘটবে। আগে মানুষ এর ভিতরের কারণ জানত না, এখন সেটা জেনে গিয়েছে। এখন আমরা সবাই জানি, এটি সূর্যগ্রহণ। যা এই কদিন আগে একবার ঘটে গেল উত্তর আমেরিকায়।না, মহাভারতে যে-ঘটনার উল্লেখ আছে, তার সঙ্গে এই সিরিয়ার ঘটনার কোনও যোগ থাকতে পারে না। কেননা, ভূগোলটাই তো আলাদা হয়ে যাচ্ছে। হয়তো সময়ের কিছু মিল থাকলেও থাকতে পারে। মহাভারতকে নিছক গল্প বলে না ধরে নিলে, তার কোনও ঐতিহাসিকত্ব থাকলে সেটা হয়তো বেশ কয়েক হাজার বছর আগের ঘটনাই হবে। এবং মহাভারতে জয়দ্রথবধের ঠিক আগে মায়াবলে শ্রীকৃষ্ণের সেই সূর্য ঢেকে ফেলার ঘটনাকে অনেকে সূর্যগ্রহণ বলেই ব্যাখ্যা করেন। তাঁরা বলেন, এরকম যে ঘটবে, শ্রীকৃষ্ণ সেটা জানতেন, অন্যরা জানত না। আর তাই সেই ঘটনার সুবিধাই সেদিন নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। তবে, সিরিয়ার সূর্যগ্রহণের সঙ্গে উত্তর ভারতের সূর্যগ্রহণের ঘটনার কোনও যোগ থাকতে পারে না!