পিটবুল-ম্যাস্টিফ এখনই নিষিদ্ধ নয়, সরকারি নির্দেশিকা উলটে হাইকোর্ট
২৪ ঘন্টা | ১৮ এপ্রিল ২০২৪
রাজীব চক্রবর্তী: ‘আক্রমণাত্মক ও বিপজ্জনক’ ২৩টি প্রজাতির কুকুর আমদানি, প্রজনন এবং বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রীয় সরকারের মৎস্য ও পশুপালন দফতর গত ১২ মার্চ এই সম্পর্কিত একটি নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বেশ কয়েকজন দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
দিল্লি হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহন এবং বিচারপতি মনমীত প্রীতম সিং অরোরার বেঞ্চ সরকারের সেই নির্দেশিকা বাতিল ঘোষণা করেছে।কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই নির্দেশিকা বাতিলের বিরোধিতা না করা হলেও আর্জি জানানো হয়েছে, এই সম্পর্কিত বিভিন্ন মহলের মতামত নিয়ে নতুন করে নির্দেশিকা জারির অনুমতি দেওয়া হোক।হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে এর জন্য দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং নিজেদের ওয়েবসাইটে ওই কুকুরগুলির প্রজাতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সব মহলের মতামত জানতে চাইবে।জানা গিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকার পরে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও কুকুরের মালিক অভিযোগ তোলেন যে সরকারের তরফ থেকে কারোর সঙ্গে কোনও আলাপ-আলোচনা না করেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, এই জিনিস বেআইনি বলেও দাবি করা হয়েছে।এর আগে কর্ণাটক হাইকোর্ট কেন্দ্রের এই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করেছিল।কুকুরের যে প্রজাতিগুলোকে কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমদানি, প্রজনন ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সেগুলি হল; পিটবুল টেরিয়ের, তোসা ইনু, এএসটি, ফিলা ব্রাসিলেইরো, ডগো আর্জেন্টিনো, আমেরিকান বুল ডগ, বোয়েরবোয়েল, ক্যাঙ্গাল, সেন্ট্রাল এশিয়ান শেফার্ড।এছাড়াও যে প্রজাতিগুলি রয়েছে সেগুলি হল টর্ণজ্যাক, জাপানিজ তোসা, আকিতা, মাস্টিফস, রটওয়েলার এবং সাউথ রাশিয়ান শেফার্ড-সহ আরও বেশ কয়েকটি।