অসাধ্য সাধন! সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় চালু হল টেলিকম পরিষেবা...
২৪ ঘন্টা | ১৮ এপ্রিল ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্বজয় সভ্যতার অগ্রগতির লক্ষণ। কোনও রহস্যই আর মানুষের কাছে অজানা নয়, কোনও ক্ষেত্রই আর মানুষের অগম্য নয়। ভারত আর একবার তা প্রমাণ করল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় চালু করল টেলিকম পরিষেবা।
দেখাই যাচ্ছে, দূরত্ব বা উচ্চতা আর বাধা নয় যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে। দেশের অতি দুর্গম জায়গাগুলিতেও এবার ধীরে ধীরে পৌঁছে যাচ্ছে টেলিকম পরিষেবা। এবার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪ হাজার ৯৩১ ফুট উচ্চতায় ভারতের প্রথম গ্রামে চালু হল এই টেলিকম পরিষেবা। কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের প্রথম গ্রাম কৌরিক ও গুয়ায় টেলিকম যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর অর্থ, এবার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪ হাজার ৯৩১ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত হিমাচল প্রদেশের এই দুই গ্রামে টেলিকম টাওয়ার বসে যাওয়ায় এবার থেকে সেখানে মোবাইল সংযোগও পাওয়া যাবে! অনায়াসে এই দুর্গম জায়গা দেশের বাকি প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবে। বাকি দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে এখানকার স্থানীয়দের আর কোনও সমস্যা থাকবে না।গুয়া হিমাচল প্রদেশের সীমান্ত-লাগোয়া ছোট একটি গ্রাম। লাহুল-স্পিতির এই গ্রাম গভীর উপত্যকার মাঝে অবস্থিত। ভারত-চিন সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে গ্রামটি অবস্থিত। ১৯৭৫ সালে ভূমিকম্পের পর এখান থেকে তেনজং নামক এক সন্ন্যাসীর মমি উদ্ধার হয়। এর পরই এই গ্রামের কথা জানতে পারেন সাধারণ মানুষ। ওদিকে, কৌরিক হল তিব্বতের সীমান্ত-লাগোয়া একটি গ্রাম। হিমাচলের এই গ্রাম ঘিরেও রহস্য রয়েছে। বছরতিরিশেক আগে এ গ্রামে আকস্মিক এক বন্যা হয়, তার পরই জনশূন্য হয়ে যায় গ্রামটি।প্রত্যন্ত গ্রামে যে এই প্রথম মোবাইল টাওয়ার বসানো হল, তা কিন্তু নয়। এর আগে ভারতের উত্তরাখণ্ড বা জম্মু কাশ্মীর অঞ্চলে দুর্গম সব এলাকায় টেলিকম পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। উত্তরাখণ্ডের নেলং এবং জাডুং-য়ের মতো প্রত্যন্তে অবস্থিত গ্রামেও এর আগে মোবাইল সংযোগ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। টেলিকম পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে জম্মু কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার প্রত্যন্ত এলাকা মাছিলের টি-চুন্টিওয়ারি গ্রামেও। সেই কাজেরই ধারা চলেছে। হয়তো আগামী দিনে আরও দুর্গম সব জায়গা বাঁধা পড়বে এই সংযোগে।