'টাকা না পেলে ডিউটি নয়', ডিসিআরসি-তে ব্যাপক বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের
এই সময় | ১৮ এপ্রিল ২০২৪
ভোটের টাকা না পেয়ে বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কেচবিহারের দিনহাটা কলেজের ডিসিআরসি-তে। ভোটকর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের যে টাকা দেওয়ার কথা, অনেকদিন ধরে তা ঘোরান হচ্ছে। এদিন সকালে তাঁরা DCRC-তে এলে জানান হয় যে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে ভোটকর্মীরা জানতে পারেন যে টাকা ঢোকেনি। এরপরেই ভোটকর্মীরা সিদ্ধান্ত নেন যে টাকা না ঢোকা পর্যন্ত তাঁরা কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। এদিকে এদিনের এই বিক্ষোভকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ডিসিআরসি-তে। যদিও কমিশনের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।এই বিষয়ে এক ভোটকর্মী অভিযোগ করে বলেন, 'ভোটের জন্য আমাদের যে ন্যায্য পাওনা, সেটা আমাদের দেওয়া হয়নি। দিলে আমরা অবশ্যই যাব ডিউটিতে। আমরা তো ডিউটিতে যাওয়ার জন্যই এসেছি। টাকা আগেই দিয়ে দেওযার কথা ছিল।' হরিশচন্দ্র অধিকারী নামে অপর এক ভোটকর্মী বলেন, 'আমদের ১৪ তারিখ মেসেজ দেওয়া হয়েছিল, আমরা ভোটে যে ডিউটি করব, তার টাকা ১৫ তারিখের মধ্যে ঢুকে যাবে। আর না ঢুকলে ডিএম অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। সেই মতো আমরা গতকাল ডিএম অফিসে গিয়েছিলাম। সেখানে বলা হয়েছিল, টাকা না ঢুকলে আজ ডিসিআরসি থেকে নগদে পাওয়া যাবে। কিন্তু এখানে এসে দেখা গেল কোনও সিস্টেমই নেই।'
হরিশচন্দ্র অধিকারী আরও জানান, এক্ষেত্রে প্রিসাইডিং অফিসারদের ২৬০০ টাকা, ফার্স্ট পোলিং অফিসারদের ১৭৬০ টাকা ও সেকেন্ড পোলিং অফিসারদের ১৫১০ টাকা করে পাওয়ার কথা। অভিযোগ, এখন ডিসিআরসি থেকে বলা হচ্ছে, ডিউটি করে আসার পর টাকা দেওয়া হবে। তবে নির্বাচন হয়ে গেলে সেই টাকা মেটানোর দায় আর কেউই নিতে চান না বলেই দাবি ভোটকর্মীদের।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন। প্রথম দফার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে। এর মধ্যে রাজনৈতিকমহলের বিশেষ নজর রয়েছে কোচবিহারের দিকে। মনে রাখতে হবে ভোটের মরশুমে বারেবারেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে কোচবিহারে। এমনকী ভোটের ঠিক আগেই দুষ্কৃতীদের অস্ত্র হাতে বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়ার ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। ঘটনাটি ঘটেছে শীতলকুচি বিধানসভা এলাকায়। যদিও ওই ব্যক্তিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন বিজেপি কর্মীরা। আর এই সবের মাঝেই ভোটকর্মীরে বিক্ষোভে ছড়াল উত্তেজনা।