• নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের চিচিং ফাঁক, মিলে গেল সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ‘মাথা’র আরও কাছাকাছি পৌঁছতে ইডির সামনে থেকে সরল বাধা। কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা এসে পৌঁছল ইডির কাছে। রিপোর্টে কী রয়েছে তা জানা না গেলেও ইডি সূত্রে খবর, CFSL থেকে যে রিপোর্ট এসেছে তাতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে যাবতীয় বাধা কেটে গিয়েছে।

    গত ৩ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ইডিকে কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে বাধ্য হন সুজয়কৃষ্ণ। সেদিন প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় SSKM হাসপাতাল থেকে জোকা ESI হাসপাতালে নিয়ে যায় ED. জোকা ইএসআই হাসপাতালে গভীর রাত পর্যন্ত চলে নমুনা সংগ্রহ। ভোরের সূর্য ওঠার আগেই বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্সে সুজয়কৃষ্ণকে SSKM হাসপাতালে ফেরত দিয়ে যান তদন্তকারীরা। সেই থেকে অপেক্ষার শুরু। জানুয়ারি পেরিয়ে ফেব্রুয়ারি, মার্চ পেরোলেও রিপোর্ট হাতে পায়নি ED. ওদিকে রিপোর্টের কী অবস্থা জানতে ইডিকে তাগাদা দিতে শুরু করে হাইকোর্ট। অবশেষে ১০৬ দিনের মাথায় ইডির হাতে এসে পৌঁছল সেই গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট। যার ওপর শুধু চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎই নয়, নির্ভর করতে বাংলার আগামীর রাজনীতির গতিপথ। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতার CFSL ল্যাবরেটরি থেকে ED দফতরে পৌঁছয় সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট। রিপোর্ট পৌঁছনোর কথা স্বীকার করেছে ED.

    ইডি সূত্রে খবর, রিপোর্টে যা রয়েছে তাতে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে আর বাধা রইল না। সরাসরি না বললেও যাতে এক প্রকার স্পষ্ট যে ইডির কাছে যে ফোন কল রেকর্ডিং রয়েছে তার সঙ্গে মিলে গিয়েছে নমুনার কণ্ঠস্বর।

    বলে রাখি গত বছর ৩০ মে গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ। গ্রেফতারির আগে প্রকাশ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের সাহেব বলে দাবি করেছিলেন তিনি। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নামে একটি সংস্থার বোর্ড অফ ডিরেক্টরসের সদস্য ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। সেই সংস্থাটিকে আবার ‘আমার সংস্থা’ বলে দাবি করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    গ্রেফতারির পর থেকে সুজয়কৃষ্ণের জেল জীবন বেশ নাটকীয়। ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষে প্রেসিডেন্সি জেলে পা রেখেই সুজয়কৃষ্ণের বুকে ব্যথা অনুভব হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় SSKM হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁর হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন বলে জানান। বেসরকারি হাসপাতালে সুজয়কৃষ্ণের হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচার হয়। এর মধ্যে স্ত্রীর প্রয়াণে পক্ষকাল প্যারোলে ছিলেন তিনি। বাকি সময়টা প্রায় পুরোটাই তাঁর কেটেছে SSKM হাসপাতালে।

    ইডি আদালতে জানিয়েছে, কাকে কাকে নিয়োগ দিতে হবে তার তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের দফতরে গিয়ে দিয়ে আসতেন সুজয়কৃষ্ণ. ওদিকে কাকুর সংস্থা থেকে টাকা গিয়েছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)