‘নাড্ডাকেও গ্রেফতার করা উচিত’, কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে মন্তব্য অভিষেকের
এই সময় | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
নিজের সুগার লেভেল বাড়ানোর জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে জেলে মিষ্টি, আম খাচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছে ইডির তরফে। বিষয়টি নিয়ে কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এই ইস্যুতে মন্তব্য করতে গিয়ে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার গ্রেফতারির দাবি জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যে দুর্নীতির দায়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই একই দায়ে জেপি নাড্ডাকেও গ্রেফতার করা উচিত বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।
অভিষেককে কেজরিওয়ালের সম্বন্ধে ইডির দাবি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ইডি-র উচিত বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতিকে গ্রেফতার করা। কারণ, যে একশো কোটি টাকার দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, তার মধ্যে ৫৫ কোটি টাকা ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে বিজেপিতে গিয়েছে। উনি নয় জেলে বসে আম খাচ্ছেন, বিজেপির জাতীয় সভাপতি তো বাড়িতে বসে আম খাচ্ছেন।’
Abhishek Banerjee : 'বিজেপির কপ্টারে হয় না!' তল্লাশিকাণ্ডে আইনি পথে অভিষেক
অভিষেক জানান, যে আবগারি দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, সেই দুর্নীতির তথাকথিত ১০০ কোটি টাকার যে অভিযোগ, তার ৫৫ কোটি টাকা ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে বিজেপির অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘ওই দুর্নীতির দায়ে কেজরিওয়াল যদি জেলে থাকেন, তাহলে জেপি নাড্ডা জেলে থাকবে বা কেন?’
দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ED-র অভিযোগ, মিষ্টি, আম খেয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করছেন কেজরিওয়াল। যাতে তাঁর স্বাস্থ্যজনিত কারণ দেখিয়ে জামিন পান, সেই চেষ্টা করছেন। ED-র এই মন্তব্যে প্রবল আপত্তি তোলেন কেজরিওয়ালের আইনজীবী। তাঁর কথায়, সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম যাতে তৈরি করা যায়, ইচ্ছাকৃত ভাবে এমন উক্তি করছেন ED-র আইনজীবী। সুগারের রোগী জেলে এসব পাচ্ছেনই বা কোথা থেকে? প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী।
ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়েও এদিন মন্তব্য করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’দিন আগেই একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্বাচনী বন্ডের সমর্থনে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। মোদীর সেই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে স্বচ্ছলতা রাখার কোনও বিষয় নেই। আর্থিক স্বচ্ছতা চেকের মাধ্যমে, এনইএফটির মাধ্যমেও রাখা যায়। নির্বাচনী বন্ডকে আগেই অসাংবিধানিক বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে।