• রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ নিয়ে ইতিবাচক আমেরিকা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৯ এপ্রিল ২০২৪
  • ওয়াশিংটন, ১৮ এপ্রিল ?    রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করল আমেরিকা। টেসলার সিইও এলন মাস্ক বছরের শুরুর দিকে ভারত কেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্থায়ী সদস্যপদ পাবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জবাবে আমেরিকার মত, তারা সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে রাষ্ট্রসঙ্ঘেরও নানা শাখা ও নিয়মবিধির সংস্কার চায়। যার মধ্যে নিরাপত্তা পরিষদের মতো শাখা সংগঠন রয়েছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের দাবি করে আসছে।
    সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশমন্ত্রকের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপার্সন বেদান্ত প্যাটেল বলেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদসহ রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিভিন্ন শাখার সংস্কার চায় আমেরিকা। এ নিয়ে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। প্যাটেল বলেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ভাষণে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন।

    প্যাটেল বলেন, একবিংশ শতকের পৃথিবীর সঙ্গে সাযুজ্য রেখে আমরাও নিরাপত্তা পরিষদসহ রাষ্ট্রসঙ্ঘের একাধিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের পক্ষে। দ্রুত  সংশোধনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করে আমেরিকা।


    ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে এলন মাস্ক রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে ভারতের না থাকাকে অবাস্তব বলে উল্লেখ করেছিলেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশ ভারতের না থাকা নিয়ে প্রস্তাব তোলেন  মাস্ক। তাঁর মতে, এতে নিরাপত্তা পরিষদে সকলের প্রতিনিধিত্বকে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। এই নীতির পরিবর্তন জরুরি বলে দাবি জানান মাস্ক।
    শুধু ভারত নয়, সংযুক্ত আফ্রিকা মহাদেশকে হিসেবে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য করা উচিত বলেও মতপ্রকাশ করেন মাস্ক। প্রসঙ্গত, ভারতের এই দীর্ঘদিনের দাবিকে ২০২৩ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি ২০ সম্মেলনের মঞ্চে সমর্থন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও।

    মাস্কের মতে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংগঠনের পুনর্বিবেচনা, সংযোজন, পরিবর্ধন করা প্রয়োজন । সমস্যা হচ্ছে, যাদের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা রয়েছে, তারা সেই ক্ষমতা ছাড়তে রাজি নয়। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ হওয়া সত্ত্বেও তারা এখনও নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদ পায়নি। এটা অবাস্তব বলে উল্লেখ করেন মাস্ক।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)